বাবা বাগেশ্বর ধামের ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী একটি টিভি নিউজ চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে এসেছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তিনি প্রতি মাসে কত আয় করেন। তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "আমার আয়ের কোনও রেকর্ড নেই। আমার আয়ের হিসাব কে রাখে? আমার আয় লক্ষ লক্ষ সনাতনীদের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস।" বাবা বাগেশ্বরকে তখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "কেউ নিশ্চয়ই রেকর্ড রাখছেন?" তিনি উত্তর দিয়েছিলেন, "যত বেশি সনাতনী, তত বেশি আয়। তুমি হিসাব করো।"
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর আয়ের প্রধান উৎস কী?
কথাকার ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর আয়:
ভক্তদের কাছ থেকে দান এবং নৈবেদ্য।
ভারত ও বিদেশে রাম কথা, ভাগবত কথা এবং হনুমান কথা অনুষ্ঠিত হয়।
দিব্য দরবার এবং বাগেশ্বর ধামে অনুষ্ঠিত আবেদন প্রক্রিয়া (এটি বিনামূল্যে, তবে দান গ্রহণ করা হয়)।
ইউটিউব চ্যানেল এবং টিভি কথা থেকে আয়।
তার ইউটিউব চ্যানেল, "বাগেশ্বর ধাম সরকার" এর লক্ষ লক্ষ গ্রাহক রয়েছে।
বাগেশ্বর ধাম একটি ট্রাস্ট হিসাবে পরিচালিত হয় এবং এখানে আগত ভক্তদের জন্য দরবার বিনামূল্যে। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বহুবার বলেছেন যে প্রাপ্ত অনুদান সামাজিক কাজে ব্যয় করা হয়।
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী মাসে প্রায় তিনটি কথা থেকে আয় করেন।
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী দেশের একজন বিখ্যাত কথা কথক, এবং অনেক রাজ্যে তার জনপ্রিয়তা এতটাই যে কেবল তাকে এক ঝলক দেখার জন্য রাস্তাঘাট জ্যাম হয়ে যায়। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর ফি সম্পর্কে অনেক দাবি করা হয়। যদিও মিডিয়া রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী একটি কথার জন্য প্রায় সারে তিন লক্ষ টাকা নেন, তবে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে তার ফি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, তাঁর কথা শোনার জন্য আয়োজকদের কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হয়, কারণ ভিআইপি, রাজনীতিবিদ এবং শিল্পপতি সহ বিপুল সংখ্যক মানুষ তাঁর কথা শোনার জন্য সমবেত হন। রিপোর্ট অনুসারে, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী প্রতি ১০ থেকে ১৫ দিনে একটি করে কথা পরিচালনা করেন এবং তিনি মাসে প্রায় তিনটি করে কথা পরিচালনা করেন।
ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ কত?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রীর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা। তাঁর আয়ের প্রধান উৎস হল দেশজুড়ে কথোপকথনের ফি এবং ভক্তদের কাছ থেকে দান। রিপোর্ট অনুসারে, ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ হাসপাতালে ব্যয় করেন।
.jpeg)
No comments:
Post a Comment