শীতের সময় মূলো সহজে পাওয়া যায় এবং এটি হজম, কোষ্ঠকাঠিন্য, রক্তচাপ ও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য খুবই উপকারী। মূলোতে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন C, পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। কিন্তু মূলো যদি ভুল খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয়, তাহলে উপকারের বদলে পেটফাঁপা, গ্যাস, জ্বালাপোড়া, ব্লোটিং ও অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়ুর্বেদে মূলো–সংক্রান্ত কিছু খাবারের কম্বিনেশন “নিষিদ্ধ” বলা হয়েছে। তাই জানা জরুরি—মূলো কোন কোন জিনিসের সঙ্গে কখনোই খাওয়া উচিত নয়।
করোলের সঙ্গে মূলো—শরীরে টক্সিনের মতো প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে
অনেকে করোলার সবজি খাওয়ার সময় সালাদে মূলো খান। কিন্তু আয়ুর্বেদ মতে এই কম্বিনেশন ঠিক নয়। মূলো ও করোলা—দু’টিতেই এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান থাকে যা শরীরে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে রিঅ্যাক্ট করতে পারে। এতে পেটে অস্বস্তি, অ্যাসিডিটি, অ্যালার্জি এমনকি কারও কারও শ্বাসকষ্টও হতে পারে। তাই করোলা খাওয়ার সময় মূলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
মূলো খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুধ—গ্যাস ও জ্বালা বাড়াতে পারে
অনেকে খাবারে মূলো খাওয়ার পরই দুধ বা দই পান করেন, যা খুবই ক্ষতিকর। মূলো স্বভাবে ঠান্ডা, আর দুধের তাসির গরম। দু’টি একসঙ্গে পেটে মেশার পর গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেটে জ্বালা ও ব্লোটিং শুরু হতে পারে। তাই মূলো খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা দুধ বা দুধজাত খাবার খাবেন না। বিশেষ করে রাতে মূলো খাওয়ার পর দুধ একেবারে নয়।
মূলো ও কমলা—একসঙ্গে খেলে “টক্সিক” প্রতিক্রিয়া হতে পারে
সালাদে অনেক সময় ফলের সঙ্গে মূলো মেশানো হয়—এটি ভুল অভ্যাস। বিশেষ করে মূলো ও কমলা একসঙ্গে খেলে পেটের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এতে পেটব্যথা, অ্যাসিডিটি, অস্বস্তি এমনকি কখনো কখনো বমিও হতে পারে। তাই মনে রাখবেন—মূলো ও কমলা একসঙ্গে কখনো খাবেন না।
মূলো খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চা—গ্যাসের বড় কারণ
অনেকে খাওয়ার পরই চা পান করেন। কিন্তু মূলো খেলে সঙ্গে সঙ্গে চা পান করলে সমস্যা হতে পারে। মূলো ঠান্ডা আর চা গরম—এই বিপরীত স্বভাব শরীরে গিয়ে গ্যাস, জ্বালাপোড়া, ভারী লাগা ও অ্যাসিডিটি বাড়িয়ে দেয়। তাই মূলো খেলে অন্তত ৩০–৪০ মিনিট পর চা পান করুন।

No comments:
Post a Comment