বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রস্তুতি চলছে। কাতার এই প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতা করছে, দোহা এই মধ্যস্থতার প্রাথমিক কেন্দ্র। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে, চুক্তিটি তত্ত্বাবধান করছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, যিনি সম্প্রতি ভারত সফর করেছেন।
নর্থ ইস্ট পোস্টের মতে, কাতারের প্রাক্তন গোয়েন্দা প্রধান এই প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এই সমস্ত কিছুর লক্ষ্য শেখ হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করা। তবে, সংবাদপত্রটি শেখ হাসিনার বিষয়ে আলোচনায় পুরো বাংলাদেশ সরকার জড়িত কিনা, বা কাতারি সরকার কোন স্তরে এই চুক্তিতে জড়িত তা নির্দিষ্ট করেনি।
প্রথমত, আওয়ামী লীগের পথ প্রশস্ত করার প্রচেষ্টা
কাতারি গোয়েন্দা প্রধান খুলাইফি এবং খলিলুর রহমান গত সাত মাসে চারবার দেখা করেছেন। খলিলুর মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথেও দেখা করেছেন। কাতারের প্রাথমিক প্রচেষ্টা হলো বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের পথ প্রশস্ত করা। এর অর্থ হল সরকারকে প্রথমে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।
কাতার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার পক্ষে। খলিলুর-পূর্ববর্তী পর্যায়ে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রকৃতপক্ষে, শেখ হাসিনার বিদায়ের পর, ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে না।
শেখ হাসিনার সমর্থকরা এর প্রতিবাদ করছেন। সম্প্রতি, শেখ হাসিনাও একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে যদি তার সমর্থকদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুমতি না দেওয়া হয়, তাহলে তারা রাস্তায় বিক্ষোভ করবে।
আমেরিকার কারণে শেখ হাসিনা তার পদ হারান।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে, সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে সহিংস প্রতিবাদে রূপ নেয়। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১,৪০০ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়। শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান।
শেখ হাসিনার মতে, এই আন্দোলনের পিছনে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ চেয়েছিল, যা হাসিনা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন, যার ফলে তার সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল।
তবে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশের রাজনীতি ৩৬০ ডিগ্রি মোড় নিয়েছে। ট্রাম্প সরাসরি বাংলাদেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

No comments:
Post a Comment