ভারতকে কোণঠাসা করতে চার দেশে সেনা ঘাঁটি? চীনের কৌশলে বাড়ছে উদ্বেগ - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Wednesday, December 31, 2025

ভারতকে কোণঠাসা করতে চার দেশে সেনা ঘাঁটি? চীনের কৌশলে বাড়ছে উদ্বেগ


 চীন আবারও তার ক্রমবর্ধমান সামরিক উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্য খবরে। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ (পেন্টাগন) এর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন ইঙ্গিত দেয় যে চীন কেবল তার সামরিক বাহিনীকে দ্রুত আধুনিকীকরণ করছে না বরং ভারতের আশেপাশের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলিতে সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের সম্ভাবনাও অন্বেষণ করছে।


নিউজউইক কর্তৃক প্রকাশিত একটি মানচিত্রে উল্লেখিত দেশগুলির মধ্যে, ভারতের চারটি প্রতিবেশী - পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা - বিশেষভাবে আলাদাভাবে দাঁড়িয়ে আছে। এটি প্রশ্ন উত্থাপন করে: চীন কি ভারতকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার কৌশল অনুসরণ করছে?

চীন নতুন ঘাঁটি পরিকল্পনা করছে, দাবি পেন্টাগনের

"গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ২০২৫-এর সাথে জড়িত সামরিক ও নিরাপত্তা উন্নয়ন" শীর্ষক পেন্টাগনের প্রতিবেদন অনুসারে, চীনের গণমুক্তি বাহিনী (পিএলএ) সক্রিয়ভাবে নতুন বিদেশী সামরিক ঘাঁটি তৈরির কথা বিবেচনা করছে এবং পরিকল্পনা করছে। এই ঘাঁটিগুলি চীনের নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিচালনা করতে এবং স্থল বাহিনীকে লজিস্টিক সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।


ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে উদ্বেগ কেন বেড়েছে?

প্রতিবেদনে উল্লেখিত দেশগুলির মধ্যে, ভারতের চারটি প্রতিবেশী - পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কা - কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তান ইতিমধ্যেই চীনের ঘনিষ্ঠ অংশীদার, এবং CPEC দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও গভীর করেছে। বাংলাদেশ ভারতের পূর্ব ফ্রন্টে অবস্থিত, এবং সেখানে চীনের সামরিক উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। চীন ইতিমধ্যেই মায়ানমারে অবকাঠামো এবং বন্দর প্রকল্পে সক্রিয়। ভারত মহাসাগরে ভারতের জন্য শ্রীলঙ্কা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ইতিমধ্যেই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চীনের সামরিক ঘাঁটি বর্তমানে কোথায় অবস্থিত?

চীনের সীমান্তের বাইরে বর্তমানে দুটি সরকারী সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। প্রথমটি আফ্রিকার জিবুতিতে একটি সহায়তা ঘাঁটি, যা ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই ঘাঁটি ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনা নৌ অভিযান এবং সামুদ্রিক নিরাপত্তা মিশনগুলিকে সমর্থন করে। দ্বিতীয়টি হল কম্বোডিয়ায় সম্প্রতি খোলা যৌথ লজিস্টিকস এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যা দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক উপস্থিতিকে শক্তিশালী করে।

চীনের অবস্থান কী?

পেন্টাগনের প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায়, চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে তারা আন্তর্জাতিক আইনের মধ্যে কাজ করে এবং তাদের সামরিক কার্যক্রম আন্তর্জাতিক জননিরাপত্তা এবং শান্তিরক্ষা বজায় রাখার জন্য। তবে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বাস্তবতা আরও জটিল।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad