প্রেসকার্ড নিউজ ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯:২০:০১ : গত বছরের অভ্যুত্থানের পর, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, এএমএম নাসির উদ্দিন, বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর, ২০২৫) ঘোষণা করেছেন যে ১৩তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। এর ফলে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনূস সরকারের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন সহিংস বিক্ষোভের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই প্রথম নির্বাচন।
শেখ হাসিনার দল, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলস্বরূপ, প্রধান প্রতিযোগিতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দল, বিএনপি এবং মৌলবাদী সংগঠন জামায়াতে বাংলাদেশের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়ে গেছে, শুধুমাত্র তফসিল চূড়ান্ত করা বাকি রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, সাধারণ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ এবং প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারী, ২০২৫। প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারণা ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭:৩০ টা পর্যন্ত চলবে। বুধবার (১০ ডিসেম্বর, ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচনকে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার ঐতিহাসিক সুযোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, "এটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্যভাবে পরিচালনা করা উচিত।"
প্রধান নির্বাচন কমিশনার তার বক্তব্যে ভোটারদের নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের আহ্বান জানান। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সূচনা হয়। রিটার্নিং অফিসার (আরও) এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার (এআরও) নিয়োগও ঘোষণা করা হবে। আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের ২১ দিন আগে থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করা যাবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে প্রার্থীদের জনসাধারণের স্থান থেকে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার এবং বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

No comments:
Post a Comment