ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায় দিনই সামনে আসছে। এই আবহেই বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন, যেখানে চট্টগ্রামে বেশ কয়েকটি হিন্দু বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। এতে করে সম্পত্তির ক্ষতি হয় এবং পরিবারের পোষা প্রাণীরও মৃত্যু হয়। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, আক্রান্তদের নাম জয়ন্তী সংঘ এবং বাবু শুকুশীল। ঘটনার সময় পরিবারটি তাঁদের বাড়ির ভিতরে ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সমস্ত দরজা বন্ধ থাকায় পরিবারটিকে বেড়া কেটে আগুন থেকে পালিয়ে বাঁচতে হয়।
পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য কাজ করছে। এই ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তবে এখনও কোনও গ্রেফতার হয়নি।
এদিকে এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসকে একহাত নিয়েছেন। ভিডিও পোস্ট করে লেখা হয়েছে, "চট্টগ্রামের রাউজানে বর্বর মুসলমানরা হিন্দুদের বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাড়িগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। হিন্দুরা অনেক কষ্টে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছেন। কোন ভরসায় তাঁরা আবার নিজেদের বাড়িঘর তৈরি করবেন? ইউনূস কি হিন্দুবিদ্বেষী বর্বর মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন? তিনি কি হিন্দুদের ক্ষতিপূরণ দেবেন? নাকি এই খবর বিদেশে ছড়ায়নি বলে তিনি বিষয়টি উপেক্ষা করবেন? তিনি কি হিন্দুদের আগুনে পুড়ে মরতে দেবেন?"
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর গভীর রাতে, কিছু দুষ্কৃতকারী লক্ষ্মীপুর সদরের একটি বাড়ি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে, পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে ৭ বছর বয়সী এক মেয়ের মৃত্যু হয়, আর তিনজন গুরুতর দগ্ধ হয়। পুলিশের মতে, রাত ১টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। আগুনে ঘটনাস্থলেই ৭ বছর বয়সী মেয়েটির মৃত্যু হয়। প্রতিবেদন এবিপি হিন্দির।
এর আগে ১৮ ডিসেম্বর, ঢাকার কাছে ভালুকায় হিন্দু যুবক দীপু চন্দ্রকে পিটিয়ে খুন করা হয়। হামলাকারীরা তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ এনেছিল। দীপু একটি টেক্সটাইল কারখানায় কাজ করতেন। দাবী করা হয়েছিল যে, দীপু ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন মন্তব্য পোস্ট করেছিলেন, কিন্তু তদন্তে এই ধরণের মন্তব্যের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বরং কারখানায় কাজ নিয়ে বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।


No comments:
Post a Comment