লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫: শীতের ঠাণ্ডা হাওয়া ত্বকের আর্দ্রতা কেড়ে নেয়। এর ফলে আমাদের হাত ও পায়ে ঘন ঘন শুষ্কতা, ফুসকুড়ি এবং রুক্ষতা দেখা দেয়। কেউ কেউ প্রচুর লোশন ব্যবহারের পরেও এসব সমস্যায় পড়েন। আপনিও যদি তাঁদের একজন হন, তাহলে আপনার রাতের রুটিনে একটি ছোট্ট পরিবর্তন আনতে হবে। ঘুমানোর আগে এই সহজ প্রতিকারটি কেবল ক্ষতিগ্রস্ত ত্বকই মেরামত করবে না বরং শীতকাল জুড়ে আপনার হাত ও পা নরম-কোমল রাখবে।
শীতে ঘুমানোর আগে এই উপাদানগুলি দিয়ে আপনার ত্বক ম্যাসাজ করুন-
শীতে ঘুমানোর আগে আপনার শরীরে আলতো করে ম্যাসাজ করুন। শুষ্ক ত্বক এড়াতে, ঘুমানোর আগে নারকেল তেল, বাদাম তেল, অ্যালোভেরা জেল এবং ভিটামিন ই-এর মতো উপাদান ব্যবহার করুন। এগুলি ত্বককে গভীরভাবে আর্দ্র এবং নরম করে। নারকেল তেল হাইড্রেশনের জন্য চমৎকার, অন্যদিকে বাদাম তেল বলিরেখা কমায়, সকাল পর্যন্ত ত্বক শুষ্ক এবং স্বাস্থ্যকর রাখে।
শীতকালে এই বিষয়গুলিও মনে রাখবেন:
প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজ করুন: পেট্রোলিয়াম বা ক্রিম-ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার লোশনের চেয়ে ভালো। যদি আপনার ত্বক সংবেদনশীল হয়, তাহলে সুগন্ধি বা ল্যানোলিন ছাড়া ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন। আর্দ্রতা ধরে রাখতে স্নানের পরে সরাসরি ভেজা ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
অতিরিক্ত ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলুন: ঠাণ্ডা তাপমাত্রা কিছু লোকের ত্বকের সমস্যা বা ফুসকুড়ির কারণ হতে পারে। আপনার যদি হাত বা পায়ের রঙ পরিবর্তন হয়, ব্যথা বা ফোসকা সহ, তাহলে অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। যদি আপনি তীব্র ব্যথা এবং হাত বা পায়ের আঙুলে সংবেদন হারিয়ে ফেলেন, তাহলে আপনার এই ফ্রস্টবাইট হতে পারে।
রোদ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করুন: শীতের রোদও আপনার ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। এমনকি শীতকালেও, যদি আপনি দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে থাকার পরিকল্পনা করেন, তাহলে আপনার ১৫ বা তার বেশি সূর্য-সুরক্ষা ফ্যাক্টর সহ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। অতিরিক্ত রোদের সংস্পর্শে অকাল বার্ধক্য এবং ত্বকের ক্যান্সার হতে পারে।

No comments:
Post a Comment