প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০১ : হিন্দু ধর্মে ছেলে হোক বা মেয়ে, কান ফোটানোর প্রথা শতাব্দী ধরে চলে আসছে। বলা হয়, প্রাচীন সময়ে যাদের কান ফোটা ছিল না, তাদের শেষকৃত্যেও অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হতো না। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথা পরিবর্তিত হয়ে শুধুমাত্র মেয়েদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যায়। আজকাল কান ফোটানো এক ফ্যাশন স্টেটাসের প্রতীক হিসেবে পরিচিত, যা এখন ছেলেমেয়েদের উভয়ের মধ্যে সমান জনপ্রিয়।
ভারতীয় সংস্কৃতিতে ছেলে হলে ডান কান এবং মেয়ে হলে দুই কানের ফোটানো হয়। এই প্রথাকে বলা হয় কর্ণবেদ সংক্রান্ত অনুষ্ঠান, যা ১৬টি সংস্কারের মধ্যে নবম। সাধারণত শিশুর জন্মের ৬ মাস পর এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
আজকের সময়ে কান ফোটানো শুধু রীতি নয়, এটি একটি ফ্যাশন ট্রেন্ডও। অনেক ছেলেই এখন কান ফোটানোচ্ছে, যা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়।
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, ছেলেমেয়ে উভয়ের কান ফোটা থাকলে রাহু ও কেতুর নকারাত্মক প্রভাব কমে যায়। তাই অনেক জ্যোতিষরা সোনার কানের দুল পরার পরামর্শ দেন। প্রাচীনকালে ঋষি-মুনি, দেবতা এবং অন্যান্য ধর্মীয় চরিত্ররা কানেই কুন্ডল পরতেন, কারণ তারা জানতেন এটি মানসিক বিকাশের জন্য জরুরি।
যদিও ফ্যাশনের কারণে এটি মূলত মেয়েদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে, তবুও ছেলেরা শিশুকালে কান ফোটালে এর পূর্ণ সুফল পেতে পারে।
কানের পিয়ারসিং কেবল সৌন্দর্যের জন্য নয়, এটি শরীরের আভ্যন্তরীণ শক্তি জাগ্রত করে এবং আপনার আজ্ঞা চক্র (তৃতীয় চোখ) সক্রিয় করে। এর ফলে ধ্যান ও মননশক্তি বাড়ে এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিও আসে।
জ্যোতিষ অনুযায়ী পুষ্য, রোহিনী ও হস্ত নক্ষত্রের দিন কান ফোটানো বিশেষভাবে শুভ। তবে রাহুকাল বা গ্রহণকাল এ সময়ে করা উচিত নয়, কারণ তখন এর শুভ প্রভাব থাকে না।
বৈজ্ঞানিক উপকারিতা
কান ফোটানো কেবল জ্যোতিষের জন্য নয়, বৈজ্ঞানিক দিক থেকেও উপকারী। এতে:
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
শরীরের শক্তি সক্রিয় থাকে
শোনার ক্ষমতা ও চোখের দৃষ্টি বৃদ্ধি পায়
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়
দুশ্চিন্তা, লকওয়েজ, আস্তমা বা অন্যান্য কিছু শারীরিক সমস্যা কমে
ছেলেমেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই কান ফোটানো মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশকে সক্রিয় করে এবং মানসিক শক্তি ও প্রতিভা বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে।

No comments:
Post a Comment