'ভোট চুরি'র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিশাল সমাবেশ, রামলীলা ময়দানে রাহুল-খাড়গে সহ একাধিক নেতৃত্ব - Press Card News

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Sunday, December 14, 2025

'ভোট চুরি'র বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিশাল সমাবেশ, রামলীলা ময়দানে রাহুল-খাড়গে সহ একাধিক নেতৃত্ব


ন্যাশনাল ডেস্ক, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫: নির্বাচনী কারচুপি এবং "ভোট চুরি"র অভিযোগের বিরুদ্ধে আন্দোলন তীব্রতর করছে কংগ্রেস। দলটি ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, রবিবার দিল্লীর রামলীলা ময়দানে একটি বড় সমাবেশ করবে। কংগ্রেস এই সমাবেশের মাধ্যমে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে যোগসাজশের অভিযোগ আনবে এবং তাদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। 


রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে সমাবেশে ভাষণ দেবেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্রা, কেসি ভেনুগোপাল, জয়রাম রমেশ এবং শচীন পাইলট সহ বেশ কয়েকজন বরিষ্ঠ নেতাও মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন। দলের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীরও সমাবেশে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।



কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কেসি বেণুগোপাল বলেছেন যে, "ভোট চুরির বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রচারণার মাধ্যমে দল প্রায় ৫৫ লক্ষ স্বাক্ষর সংগ্রহ করেছে।" তিনি বলেন, "রাহুল গান্ধী প্রমাণ সহ দেখিয়েছেন যে, ভোট চুরি কীভাবে হচ্ছে। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এই বিষয়ে একটি উন্মুক্ত বিতর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ করেছেন, কিন্তু সরকার কোনও সাড়া দেয়নি।"


বেণুগোপাল বলেছেন, সমাবেশের পরে, কংগ্রেস রাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাতের অনুরোধ করবে এবং ৫.৫ কোটি স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জমা দেবে। দলটি বলেছে যে, এই আন্দোলন গণতন্ত্র এবং সুষ্ঠু নির্বাচন রক্ষার জন্য।



নির্বাচনী সংস্কার এবং ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়ে লোকসভায় সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে উত্তপ্ত বিতর্কের মাত্র কয়েকদিন পরেই এই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কংগ্রেস নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ করেছে।


কংগ্রেস সাংসদ ইমরান প্রতাপগড়ী দাবী করেছেন যে, লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেবেন। তিনি বলেন, সারা দেশের কংগ্রেস কর্মীদের পাশাপাশি সমাজকর্মীরাও রামলীলা ময়দানে জড়ো হবেন। তিনি ইঙ্গিতও দিয়েছেন যে, মহাজোটের সহযোগী দলগুলির নেতারাও এই সমাবেশে অংশ নিতে পারেন।


কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলট বলেন, "ভোট চোর গদ্দি ছোড়"- স্লোগান দিয়ে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। কারণ নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। এদিকে, ভূপেশ বাঘেল অভিযোগ করেছেন যে, বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন গণতন্ত্রকে দুর্বল করার জন্য যোগসাজশ করছে।


কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ এই সমাবেশকে একটি গণআন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি কেবল একটি দলীয় অনুষ্ঠান নয় বরং জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। তিনি সাধারণ নাগরিকদের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্যও আবেদন করেন।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad