ওয়ার্ল্ড ডেস্ক, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫: বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রামে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে। রবিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম একথা জানিয়েছে। বিশিষ্ট যুব নেতা শরীফ ওসমান হাদীর মৃত্যুর পর তীব্র উত্তেজনার মধ্যে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। গত বছরের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন ওসমান হাদী, যার ফলে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এর পাশাপাশি ১২ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনেরও প্রার্থী ছিলেন তিনি।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার মধ্যাঞ্চলের বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণার সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদিকে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা গুলি করে খুন করে। পরে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এই সময় চট্টগ্রামে সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনারের বাসভবনেও বৃহস্পতিবার পাথর ছোঁড়া হয়।
'ঢাকা ট্রিবিউন', পত্রিকা রবিবার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভিএসি)-র বরাত দিয়ে জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ভারতীয় ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে সাম্প্রতিক ঘটনার পর রবিবার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। আইভিএসি অনুসারে, বন্দর নগরীতে সমস্ত ভারতীয় ভিসা-সম্পর্কিত পরিষেবা ২১ ডিসেম্বর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভিসা আবেদন কেন্দ্র পুনরায় চালু করার বিষয়ে আরও একটি ঘোষণা করা হবে। শনিবার বাংলাদেশের সিলেটে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস এবং ভিসা আবেদন কেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার মতে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম বলেছেন যে, "কোনও তৃতীয় পক্ষ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে না পারে" তা নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের কাছে হাদীকে কবর দেওয়া হয়েছে।

No comments:
Post a Comment