লাইফস্টাইল ডেস্ক, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫: অনেক মহিলার জন্যই মাসিক বা পিরিয়ডের দিনগুলো অস্বস্তিদায়ক এবং ক্লান্তিকর। এই সময়ে পেটে ব্যথা, দুর্বলতা, খিটখিটে ভাব এবং পেট ফাঁপা হওয়া সাধারণ। যদিও এই সমস্যাগুলির দ্রুত কোনও সমাধান নেই, তবে সঠিক খাবার খেলে এসব উল্লেখযোগ্যভাবে কম হতে পারে।
পিরিয়ডের সময় শরীরের অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। আর এই সময় সুষম এবং পুষ্টিকর খাদ্য কেবল ব্যথা কমায় না বরং ইতিবাচক মেজাজ ও শক্তির স্তরও বজায় রাখে। একটি সঠিক খাদ্য এই দিনগুলিকে কিছুটা সহজ করে তুলতে পারে।
এই সময়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিহাইড্রেশন মাথাব্যথা এবং ফোলাভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই সময় আপনার খাদ্যতালিকায় শসার মতো জল সমৃদ্ধ ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উপকারী।
ঋতুস্রাবের সময় মিষ্টির জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষাও দেখা দিতে পারে। তরমুজের মতো স্বাভাবিকভাবেই মিষ্টি ফল এই আকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলি হালকা এবং হজমে খুব বেশি চাপ দেয় না।
মাসিকের সময় রক্তক্ষরণ আয়রনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে। ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা, বিশেষ করে ভারী রক্তপাতের সমস্যা হতে পারে। পালং শাক এবং কেল জাতীয় সবুজ শাকসবজি আয়রনের ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তা করে।
এই সময়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও অপরিহার্য। মুরগির মাংস আয়রন এবং প্রোটিন উভয়েরই একটি ভালো উৎস। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ দুর্বলতা কমায় এবং মিষ্টির প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমায়।
আদা-ও মাসিকের ব্যথা এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি দিতে পারে। আদা চা পেশী শিথিল করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। তবে, এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিৎ।
মাসিকের সময় ডার্ক চকলেট এবং তৈলাক্ত মাছও উপকারী বলে বিবেচিত হয়। ডার্ক চকলেটে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পিএমএসের লক্ষণ কমায়, অন্যদিকে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ মাছ পিরিয়ডের ব্যথা কিছুটা কমাতে পারে।
ডার্ক চকলেটে থাকা ম্যাগনেসিয়াম পিএমএসের লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে। স্যামন এবং সার্ডিনের মতো মাছে পাওয়া ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে পারে।

No comments:
Post a Comment