প্রেসকার্ড নিউজ বিনোদন ডেস্ক, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০০:০১ : শীতকালে গুড় না খেলে আজই শুরু করুন, কারণ এর উষ্ণতা বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য শরীরকে উষ্ণ করে। যদি আপনার বাড়িতে ইতিমধ্যেই গুড় ভর্তি একটি পাত্র থাকে এবং তা ভিজে ও আঠালো হয়ে যায়, এবং সেই কারণেই আপনি এটি খাচ্ছেন না, তাহলে কিছুক্ষণের জন্য এটিকে রোদে রেখে দিন। যদি গুড় আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে, তাহলে এই টিপস এবং কৌশলগুলি ব্যবহার করে আপনি এটিকে শুষ্ক ও শক্ত রাখতে পারো, যার ফলে এটির স্বাদ ভালো হবে।
কীভাবে গুড়কে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা করবেন?
- যদি আর্দ্রতার কারণে গুড় ভিজে ও আঠালো হয়ে যায়, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে পাত্র থেকে বের করে একটি প্লেট বা সংবাদপত্রে রাখুন এবং সূর্যের আলোতে রাখুন। ১-২ ঘন্টা রেখে দিন। এতে আর্দ্রতা দূর হবে।
- যে পাত্রে বা পাত্রে গুড় রাখবেন তাতে কয়েকটি নিম পাতা যোগ করো। নিশ্চিত করুন যে নিম পাতা শুকনো, কাঁচা নয়। এটি করার জন্য, এই পাতাগুলিকে কয়েক দিনের জন্য রোদে শুকিয়ে নিন। নিম পাতা কেবল আর্দ্রতা আটকে রাখে না বরং ছত্রাক এবং পোকামাকড়ের উপদ্রবও প্রতিরোধ করে।
গুড় যদি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যায়, তাহলে পাত্রে সামান্য চাল যোগ করুন। চালের দানা আর্দ্রতা শোষণ করবে।
- যে পাত্রেই গুড় সংরক্ষণ করুন না কেন, তা যেন শুকনো থাকে তা নিশ্চিত করুন। সর্বদা ঢাকনা শক্ত করে বন্ধ করুন, অন্যথায় বাতাসে গুড় ভেজা বা আঠালো হয়ে যেতে পারে। গুড় বের করার সময় আপনার হাত ভেজা এড়িয়ে চলুন। ঘরের তাপমাত্রায় শুষ্ক, ঠান্ডা জায়গায় বাইরে সংরক্ষণ করুন। ফ্রিজে গুড় সংরক্ষণ করা এড়িয়ে চলুন।
গুড়ের প্রকৃতি কী?
শীতকালে গুড় অবশ্যই খাওয়া উচিত কারণ এর উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব রয়েছে। এটি খেলে শরীর ভেতর থেকে উষ্ণ থাকে।
গুড়ের পুষ্টি উপাদান
গুড়ে আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, চিনি, ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সহ অনেক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান রয়েছে।
গুড় খাওয়ার উপকারিতা
- গুড় খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- গুড় খেলে শরীরে শক্তি এবং স্ট্যামিনা বৃদ্ধি পায়।
- এটি বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি করে এবং আয়রনের ঘাটতি দূর করে। রক্তাল্পতা রোগীদের এটি খাওয়া উচিত।
- গুড় খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
গুড় শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে এবং রক্ত পরিষ্কার করে।
গুড় খাওয়ার সর্বোত্তম সময় এবং পরিমাণ
- খাবারের পর গুড় খেলে হজমশক্তি উন্নত হয়। সকালে খালি পেটে প্রথমেই গুড় খেলে শরীর বিষমুক্ত হয় এবং বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে শীতকালে, যেকোনও সময় গুড় খাওয়া উপকারী হবে, কারণ এটি শরীরকে উষ্ণতা প্রদান করে।
- দিনে খুব বেশি গুড় খাওয়া এড়িয়ে চলুন, অন্যথায় এটি ক্ষতিকারক হবে। আপনি প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ গ্রাম বা ১-২ টেবিল চামচ গুড় খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। চিনি এবং গুড় ডায়াবেটিসের জন্য অস্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত গুড় খেলে ক্যালোরির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি পাবে। এটি পরিমিত পরিমাণে খেলে বিপাক ক্রিয়া বৃদ্ধি পাবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

No comments:
Post a Comment