শীত মৌসুম এলেই এই সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে, শ্লেষ্মার কারণে নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দেয়। কিছু ক্ষেত্রে কফের কারণে জ্বরও হয়।
কফ যদি সময়মতো নিরাময় না হয়, তবে তা বুকেও জমা হতে থাকে। যদিও শ্লেষ্মা বিপজ্জনক নয়, তবে এটি দীর্ঘ সময় ধরে জমে থাকলে এটি শ্বাসকষ্টের অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
শ্লেষ্মা জমে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন ঠান্ডা, ফ্লু, ভাইরাল ইনফেকশন, সাইনাস, অতিরিক্ত ধূমপান। শুরুতে মনোযোগ না দিলে পরবর্তীতে তারা সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাহলে আসুন জেনে নেই তাদের ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কে।
শ্লেষ্মা থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া প্রতিকার:
১। সাদা মরিচ: আধা চা চামচ সাদা গোলমরিচ পিষে নিন। এতে ১ চা চামচ মধু যোগ করুন। এই মিশ্রণটি ১০-১৫ সেকেন্ডের জন্য মাইক্রোওয়েভ করুন, তারপর পান করুন।
এটি পান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন। শ্লেষ্মা থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্তি পেতে, এই মিশ্রণটি এক সপ্তাহের জন্য দিনে তিনবার খান।
২। গার্গল: শ্লেষ্মা দূর করতে গার্গল করা অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য এক গ্লাস জল গরম করে তাতে দুই থেকে তিন চিমটি লবণ দিন, এবার তা দিয়ে গার্গল করুন। সকালে এবং সন্ধ্যায় গার্গল করলে কয়েক দিনের মধ্যে কফ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৩। স্টিমিং: গরম বাষ্প গ্রহণ করলে শ্লেষ্মা ঢিলা হয় এবং সহজেই বেরিয়ে আসতে পারে। সর্দি-কাশি সারাতে এটি সবচেয়ে কার্যকরী ঘরোয়া উপায়।
রাতে ঘুমনোর আগে স্টিম নেওয়া বেশি কার্যকরী, এছাড়া দিনে ৩ থেকে ৪ বার স্টিম নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
শ্লেষ্মার জন্য একটি ঘরোয়া প্রতিকার তৈরি করতে উষ্ণ জলে ভিক্স মিশিয়ে বাষ্প শ্বাস নিন এবং একটি তোয়ালে বা টেবিলের সাহায্যে আপনার মাথা পুরোপুরি ঢেকে নিন। আপনি চাইলে শুধু গরম জলের ভাপও নিতে পারেন।
৪। হলুদ: হলুদের খুব কার্যকরী অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শ্লেষ্মায় উপস্থিত ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে। এভাবে কফের গঠন বন্ধ হয়ে যায়। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে হলুদ।
প্রথমে এক গ্লাস দুধে এক চামচ হলুদ দিন। তারপর সকালে এবং রাতে ঘুমানোর আগে এই মিশ্রণটি পান করুন। অথবা আধা চা চামচ হলুদ জলের সঙ্গে দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।
৫। আদা এবং মধু: মধুর সঙ্গে আদা খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। প্রথমে আদা কুচি করে তাতে দুই চামচ মধু মেশান। এই পেস্টটি দিনে দুই থেকে তিনবার লাগালে কফ বেরিয়ে যাবে।
No comments:
Post a Comment