ঠাণ্ডার মরসুমে সুস্থ থাকার জন্য খাওয়া যেতে পারে অনেক কিছু। এমন অনেক জিনিস রয়েছে যা অন্যান্য ঋতুর তুলনায় ঠান্ডায় আপনাকে সুস্থ রাখে এবং সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে।
আমরা সবাই ঠান্ডায় কম জল পান করি, যার কারণে হজমে সমস্যা হয়, সেই সাথে ঠান্ডায় দই না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই কারণে, হজম করার জন্য সেরা বিকল্পটিও বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু আপনি যদি কিশমিশের সাথে দই খান তাহলে খুব উপকার পাবেন ।
কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১২ এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান দইয়ে পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় এই দুটি জিনিস একসঙ্গে খেলে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়।
এবার আমরা আপনাদের বলি দই ও কিশমিশ একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা ।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে - দই ও কিশমিশের মিশ্রণ খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। উভয়েই প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যার কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়া যায় ।
হজমের উন্নতি ঘটায় -
ঠান্ডার সময় মানুষের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল থাকে এবং জল কম পান করার কারণে এই সব ক্ষতি হয়। এ কারণে খাবার পুরোপুরি হজম হয় না। আর পেট খারাপ হয়ে যায়। তাই শীতে তৃষ্ণা না পেলেও জল পান করতে হবে। আর দই ও কিশমিশ খেলে আপনার হজমও ঠিক হবে।
ত্বক উজ্জ্বল করে -
মুখের উজ্জ্বলতা বাড়াতে মুখে কিছু লাগালেও,সাথে দই ও কিশমিশ খাওয়া উচিৎ । কারণ এটি খেলে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে, ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
শক্তি বৃদ্ধি করে -
এটি খেলে শক্তির মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। আসলে দই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং কিশমিশও উপকারী । এমতাবস্থায়, এই দুটি খেলে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়, তখন আপনি কোনো সংক্রমণের কবলে পড়েন না এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
বি.দ্র: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এটি গ্রহণ করার আগে দয়া করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। প্রেসকার্ড-নিউজ এটি নিশ্চিত করে না।
No comments:
Post a Comment