ভুল যে কারওই হতে পারে। শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে বা মেয়েরা ভুল করলে শাস্তির পরিবর্তে তাদের সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। আজকের এই প্রতিবেদনে এমন এক ঘটনা সম্পর্কে উল্লেখ করা হল, যা জানলে যে কেউ অবাক হয়ে যাবেন। কী এমন ঘটনা? ঘটনা হল ৫ বছরের শিশুর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। জেনে নেওয়া যাক পুরো ঘটনা।
ঘটনাটি ঘটেছে মিশরে, যেখানে ৪ বছর বয়সী মনসুর কুরানি আলীর বিরুদ্ধে অনেক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের কারণে সেখানকার আদালত মনসুরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এই ছোট্ট শিশুটির ওপর ৪ জনকে হত্যা এবং ৮ জনকে হত্যার চেষ্টার পাশাপাশি পুলিশকে হুমকি দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি মিশরের জনগণের কানে পৌঁছালেই সমগ্র দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে।
আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে প্রচণ্ড বিক্ষোভ করেন সেখানকার মানুষ। ঘটনার নিন্দাও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বড় বড় ব্যক্তিরাও এই মামলার তীব্র সমালোচনা করেছেন, তা সত্ত্বেও আদালতের সিদ্ধান্ত কোনও পরিবর্তন হয়নি। প্রায় এক বছর পর এই ঘটনা বিশ্বব্যাপী মানুষের সামনে এলে সমগ্র বিশ্ব একত্রে মিশরীয় আইনের তীব্র নিন্দা জানায়। চাপের মুখে আদালত ঘটনার পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্ত-পরবর্তী ফলাফল দেখে সবাই হতবাক কারণ মনসুর যে অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এবং যে ভুলের জন্য সে কারাগারে ছিল, তা সবই মিথ্যা। মনসুর কখনও এমন কিছু করেনি। আসলে, এমন কিছু ঘটেছিল যে মনসুরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত না করেই তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment