জল পান করলে মুখের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসে এবং চুল ও শরীরের অঙ্গগুলি সুস্থ থাকে। কিন্তু, জল পান করার সময় এই সাধারণ ভুলগুলি করতে ভুল করবেন না।
ভুল ১:
খুব ঘন ঘন জল পান করা অনেকেই মনে করেন যে আমাদের শুধু জল পান করতে হবে, আমরা তা সারা দিন পান করি বা কয়েক ঘন্টার মধ্যে কাজ শেষ করব। কিন্তু অনেক সময় জল পান করা ভুল, যার কারণে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে, যার কারণে কিছু ক্ষেত্রে ফোলাভাবও দেখা যায়।
ভুল ২: অতিরিক্ত জল পান করা
জল পান করার উপকারিতা আছে , কিন্তু এর মানে এই নয় যে আপনি অতিরিক্ত জল পান করা শুরু করেছেন। সাধারণত ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করাই যথেষ্ট। এর চেয়ে বেশি জল পান করলে শরীরে লবণ অর্থাৎ ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। কম সোডিয়াম হাইপোঅ্যাট্রেমিয়ার সমস্যা হতে পারে, যা অনেক সময় মারাত্মক হতে পারে।
ভুল ৩:
খাবার খাওয়ার সময় জল পানে ভুল খাবার খাওয়ার সময় জল পান করার অভ্যাস থাকলে তা অবিলম্বে বন্ধ করুন। কারণ, এতে অম্বল ও বদহজম হতে পারে। আসলে খাবারের সময় জল পান করলে পাকস্থলীতে উপস্থিত খাদ্য-হজমকারী অ্যাসিড পাতলা হয়ে যায় এবং খাবার ঠিকমতো হজম হয় না। খাওয়ার সময় ঠাণ্ডা বা পিপাসা লাগলে ১-২ চুমুক জল পান করতে পারেন।
ভুল ৪:
জলের পরিবর্তে অন্যান্য তরল পান করা অনেক সময় আমরা অনুভব করি যে শরীরের শুধুমাত্র তরলই প্রয়োজন, তা জল হোক বা কোল্ড ড্রিংক, চা, কফি বা সোডা। কিন্তু তা করা একটি ভুল। কারণ কোনো তরলেই জলের মতো হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য নেই। উল্টো চা, কফি, সোডা, কোল্ড ড্রিংকস আপনার শরীরকে ডিহাইড্রেট করতে এবং শরীর থেকে জল দূর করতে কাজ করে।
ভুল ৫:
খুব ঠাণ্ডা জল পান করা গ্রীষ্মকালে ফ্রিজে রাখা জল বা বরফের জল পান করলে অনেকটাই আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু এই উপশম দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা হতে পারে। কারণ, অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জল শরীরের ভ্যাগাস নার্ভকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা শরীরের দীর্ঘতম এবং গুরুত্বপূর্ণ শিরা।
ভুল ৬:
কল থেকে জল পান করার ভুল তাড়াহুড়ো করে কল থেকে জল পান করার ভুল করাও ব্যয়বহুল হতে পারে। কারণ, এই জলে ক্লোরিন ও ফ্লোরাইডের মতো বিপজ্জনক টক্সিন থাকতে পারে। যা আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। একই সময়ে, মাটির অপরিশোধিত জলে আর্সেনিক থাকতে পারে, যা ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।
No comments:
Post a Comment