যদি আপনার চুলের দৈর্ঘ্য স্বাভাবিক হয়, তবে আপনাকে অবশ্যই দিনে দুইবার চিরুনি দিতে হবে। সকালে একবার এবং রাতে একবার চিরুনি শুধু চুলকে জটমুক্ত রাখে না, আঁচড়ানোর অন্যান্য সুবিধাও দেয়। সেই সঙ্গে লম্বা চুলকে জট থেকে দূরে রাখতে দিনে ৩ বার চিরুনি করতে পারেন। যার কারণে চুল দূর্বল ও ভাঙা থেকে রক্ষা পায়। একই সঙ্গে চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সময়ে চিরুনিও করতে পারেন।
চুল আঁচড়ানোর সঠিক উপায়:
আপনি কি জানেন কিভাবে চুল আঁচড়াতে হয়। কারণ এটি করার একটি সঠিক উপায় রয়েছে। যেমন-
চুল আঁচড়ানোর জন্য, আপনি একটি মোটা দাঁতযুক্ত কাঠের চিরুনি ব্যবহার করুন। এতে চুল কম ভাঙ্গা হয়।
চুল ব্রাশ করার সময় চুল টানা উচিত নয়।
চুল আঁচড়ানোর সময় মাথার ত্বকে আঁচড় দেওয়া উচিত নয়। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে এবং চুল পড়ে যেতে পারে।
মাঝখান থেকে শুরু করে চুলকে ভাগে ভাগ করে ব্রাশ করা উচিত।
চুলের গোড়া থেকে চুলের দৈর্ঘ্য পর্যন্ত চিরুনি করুন।
মনে রাখবেন ভেজা চুল কখনই আঁচড়ানো উচিত নয়। এতে চুল ভেঙ্গে যায়।
চুল আঁচড়ানোর উপকারিতা:
মজবুত এবং কালো চুল- চুল আঁচড়ানোর সুবিধা হল আপনার মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চুলের গোড়ায় বেশি পুষ্টি পাওয়া যায় এবং চুল মজবুত হয় এবং চুল সাদা হওয়ার সমস্যা থাকে না ।
শুষ্ক ও প্রাণহীন চুল এড়ানো- চিরুনি চুলে প্রাকৃতিক তেল বাড়ায় যা শুষ্ক ও প্রাণহীন চুলের সমস্যাকে দূরে রাখে।
খুশকি প্রতিরোধ করে- চুল আঁচড়ানো মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, যা খুশকির প্রধান কারণ ।
বিচ্ছিন্ন এবং চকচকে চুল- চুল আঁচড়ানোর ফলে চুল জট হয় না এবং এর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
No comments:
Post a Comment