গরম থেকে বাঁচার কিছু টিপস - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Tuesday 26 April 2022

গরম থেকে বাঁচার কিছু টিপস

 





আজকাল বিকেলে পারদ অর্থাৎ তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যায়। অতিরিক্ত সূর্যালোকের এক্সপোজার আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বাড়ি থেকে বের হতে চাইলে সকাল ১১টার মধ্যে বের হন অথবা বিকেল সাড়ে ৩টার পরেই । অতিরিক্ত সূর্যালোকের এক্সপোজার শুধুমাত্র স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে না, এটি ত্বকের জন্যও খুবই ক্ষতিকর।


সুতি কাপড় নির্বাচন:


গ্রীষ্মকালে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সূর্যের আলোর প্রভাব ন্যূনতম হওয়া উচিৎ। এ জন্য পোশাকের ক্ষেত্রেও কিছু যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।


গরম এড়াতে সুতির কাপড় পরুন। এর পাশাপাশি একটু ঢিলেঢালা অর্থাৎ আরামদায়ক পোশাক বেছে নিন। সুতির কাপড় বেছে নেওয়ার পাশাপাশি গরমের দিনে হালকা রঙের পোশাক বেছে নেওয়াটাও উপকারী।



সঙ্গে জল বহন করুন:


আপনি যখন গরমের দিনে বাইরে যান তখন আপনার সঙ্গে অবশ্যই একটি ঠান্ডা জলের বোতল রাখুন যাতে আপনি যখনই তৃষ্ণার্ত হবেন তখনই  জল পান করতে পারেন। বাড়ি থেকে জল নিয়ে যাওয়ার একটা সুবিধাও আছে, পকেটে অহেতুক চাপ পড়ে না, অর্থাৎ টাকাও বাঁচে।


তৃষ্ণার সময় জলের  পরিবর্তে অন্যান্য জিনিস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, যেমন বাজারে পাওয়া বিভিন্ন পানীয়।


সঠিক খাওয়া:


গ্রীষ্মের সময়, আপনার খাবার এমন হওয়া উচিৎ যাতে এটি আপনাকে ভেতর থেকে শীতলতা দেয়। এর জন্য ঘরে তৈরি দই, লস্যি, লেমনেড, শিকাঞ্জি, ডিটক্স ড্রিংকস (জলে শসার টুকরো, আপেলের টুকরো, দারুচিনির টুকরো, পুদিনা পাতা ইত্যাদি যোগ করে)

খাওয়া বেশি উপকারী। 


তার সঙ্গে খাবারে তৈলাক্ত ও বেশি মসলাযুক্ত জিনিস খাওয়া কমাতে হবে। অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতিকর নয়, আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে।


আজকাল, চা, কফি এবং অন্যান্য ক্যাফেইনযুক্ত পদার্থের ব্যবহার কমিয়ে আনা উচিৎ। কারণ, এগুলো শরীরে জলের  ভারসাম্যহীন করার কাজ করে। গরমে গরম খাবার খাওয়া একদমই উচিৎ নয়।



খাবারে কম ক্যালরি এবং কম চর্বিযুক্ত জিনিস গ্রহণ করা শরীরের জন্যও উপকারী। গ্রীষ্মকালে তাজা সালাদ এবং তাজা কাটা ফল খাওয়া উপকারী।

 


গ্রীষ্মে শিশু এবং বয়স্কদের যত্ন নিতে:


গ্রীষ্মের দিনগুলো শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। তাই শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যত্ন নেওয়া খুবই জরুরি। অতিরিক্ত রোদে ঘরের বাইরে বের হতে দেবেন না।


তাদের থাকার জায়গা একটু ঠান্ডা হওয়া উচিৎ। তাদের ঘরে কুলার বা এসি থাকা উচিৎ, তবে আরও একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে হঠাৎ করে ঠান্ডা পরিবেশ থেকে বের হবেন না বা বাইরে থেকে এলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা পরিবেশে যাবেন না।


কারো যদি কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে তাকে অবশ্যই সময়ে সময়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে, পাশাপাশি তাদের ওষুধের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে যেন তারা অবশ্যই সময়মতো এবং নিয়মিত ওষুধ খান।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad