বীরভূমের তৃণমূলের বাহুবলী নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর গাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পরে গরু পাচার ও সহিংসতার ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই অফিসে তলব করা হয়েছিল, কিন্তু অসুস্থতার কারণে তিনি সিবিআই-এর সামনে হাজির হননি। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর সায়গল হোসেনকে জেরা করেছে সিবিআই। এই সায়গল হোসেনের গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িতে তার পরিবার ও স্বজনরা ছিলেন। দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত ও সায়গল হোসেন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল। পুলিশ সূত্রে খবর, পথে একটি ডাম্পারের সঙ্গে গাড়িটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অনেকে।
ঘটনাটি ইলামবাজার জঙ্গলের। সায়গল এবং তার পরিবার একটি কালো রঙের চার চাকার গাড়িতে চড়েছিলেন। গাড়িটি ডাম্পারকে ধাক্কা দেয় এবং এর ফলে গাড়িটি বিধ্বস্ত হয়। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে সায়গলকে জেরা করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচারের একটি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল অনুব্রত মন্ডল কোথায় যেতেন এবং কার সাথে দেখা করতেন। টাকা লেনদেনের বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া হয়। গরু পাচার মামলায় বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকেও সিবিআই তলব করেছে, যদিও তিনি এখনও সিবিআই অফিসে হাজির হননি। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বিশ্রামে রয়েছেন।
দেহরক্ষী সায়গল অনুব্রত মণ্ডলের অনেক মামলার সাক্ষী হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন তিনি। এই কারণেই তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। সেই সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের ওপর এই সময়ে গরু পাচারের ক্ষেত্রেও বেশ চাপ রয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলকে খুন করা হতে পারে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ দাবী করেছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলকে খুন করা হতে পারে।
No comments:
Post a Comment