মালদা: নবম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অপহৃত ওই ছাত্রী আবার যুব তৃণমূল নেতার ভাইজি। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি, শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ঘটনাটি ঘটেছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বরুই এলাকায়।
ছাত্রীকে বিহারে পাচার করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে ১৩ জনের নামে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এমনকি বিজেপির স্থানীয় বুথ সভাপতির মদতেই তাকে খারাপ উদ্দেশ্যে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে, যদিও অহরণের তিনদিন বাদেও অপহৃত ছাত্রীর কোনও হদিশ মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। অযথা বিজেপিকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবী বিজেপি নেতাদের। গোটা ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক তরজা।
পুলিশ ও অপহৃতা ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার স্থানীয় একটি ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। বিকেল গড়ালেও সে বাড়ি ফেরেনি। এমনকি, পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করলেও তার হদিশ পায়নি। পরিবারের দাবী, পরে তারা জানতে পারেন যে, তাদের মেয়েকে ব্যাঙ্কের সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই ঘটনায় বরুই এলাকার ১৩ জন জড়িত বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। তারা সকলেই বিজেপি করেন বলে অভিযোগ।
তৃণমূলের দাবী, ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি বুথ সভাপতি হিমাংশু দাসের। যদিও তার নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
ছাত্রীর কাকা তথা হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লক যুব তৃণমূল সহ সভাপতি বিক্রম দাস বলেন, 'আমাদের এলাকার পাশেই বিহার। ওকে অপহরণ করে খারাপ উদ্দেশ্যে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিজেপি কর্মীরাই এ কাজ করেছে।'
বিজেপি বুথ সভাপতি হিমাংশু দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অপহরণের সম্পর্কে কোনও কিছু জানেন না। সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবী করেন তিনি।
এদিকে, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, 'বিজেপি বুথ সভাপতির প্রত্যক্ষ মদতে কিশোরীকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ যাতে দ্রুত পদক্ষেপ করে সেই আবেদন করছি।'
অপরদিকে, বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যে অভিযোগ। এসব তৃণমূলের কালচার। দল এসবকে প্রশ্রয় দেয় না। পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে। তাই বিজেপিকে বদনাম করতেই এসব ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।' পাশাপাশি তিনি এও বলেন, 'দলের কেউ এমন কাজে জড়িত থাকলে তাকে সঙ্গে সঙ্গেই বের করে দেওয়া হবে। কি ঘটেছে তা প্রশাসনই তদন্ত করে দেখুক।'
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর রামপ্রসাদ চাকলাদার বলেন, 'ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।'
No comments:
Post a Comment