আপনি অবশ্যই প্রায়শই লক্ষ্য করেছেন যে একজন ব্যক্তির নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হলে তাকে মাঝে মাঝে মানুষের মধ্যে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের দুর্গন্ধ এমনই একটি সমস্যা, যা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে জড়িত। এ কারণে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়। খাবারের প্রভাবও মুখের দুর্গন্ধের সাথে সম্পর্কিত। ডাক্তারি ভাষায় দুর্গন্ধকে বলা হয় 'হ্যালিটোসিস'। আসুন, এই খবরে আমরা জানব এই সমস্যা হওয়ার কারণ এবং এর থেকে মুক্তি দেয় এমন খাবার সম্পর্কে।
দুর্গন্ধযুক্ত খাবার
১. রসুন-পেঁয়াজ-
মুখের দুর্গন্ধ বাড়ায় এমন খাবারের মধ্যে প্রথমেই আসে রসুন ও পেঁয়াজ। কারণ এতে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই এটি খাওয়ার সাথে সাথে এর প্রভাব দেখা যায়। সালফার আমাদের রক্তে শোষিত হয় এবং আমরা যখন শ্বাস ছাড়ি তখন বেরিয়ে আসে, যার ফলে নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ হয়। এই সমস্যা এড়াতে চাইলে এই জিনিস খাওয়া কমিয়ে দিন।
২. পনির খাওয়া-
পনিরও হ্যালিটোসিসের জন্য দায়ী হতে পারে। এটিতে অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে, যা মুখের মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে ঘটতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সাথে একত্রিত হয়ে সালফার যৌগ তৈরি করে। তাদের প্রতিক্রিয়া হাইড্রোজেন সালফাইডও তৈরি করে, যা খুব খারাপ গন্ধ বলে পরিচিত। তাই ডায়েটে খুব বেশি পনির অন্তর্ভুক্ত করবেন না।
৩.অ্যালকোহল এবং কফি-
অ্যালকোহল এবং কফি দুটোই মুখের দুর্গন্ধ বাড়াতে কাজ করে। বিশেষ বিষয় হল এই দুটি জিনিসই মুখকে ডিহাইড্রেট করে এবং দুর্গন্ধযুক্ত ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়। অ্যালকোহল আমাদের রক্তে দীর্ঘ সময় ধরে থাকে, তাই এর প্রভাবও দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
৪. চিনির অত্যধিক ব্যবহার-
মুখের দুর্গন্ধের জন্য চিনি দায়ী। এটি মুখের ক্যান্ডিডা ইস্টের মাত্রা বাড়ায়। এই উচ্চ পরিমাণ চিনি একটি সাদা জিহ্বা দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধযুক্ত খাবার
১. সবুজ চা:
গ্রিন টি নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে এবং এতে প্রাকৃতিক যৌগ রয়েছে যা দুর্গন্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
২.পুদিনা পাতা:
পুদিনা পাতাও তাজা নিঃশ্বাসের জন্য একটি ভালো বিকল্প। এতে পাওয়া প্রাকৃতিক রাসায়নিক নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের চিকিৎসা হিসেবে কাজ করে।
৩. লবঙ্গ উপকারী:
লবঙ্গে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান, যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের মতো কাজ করে। তাজা নিঃশ্বাসের জন্য খাবার খাওয়ার পরপরই লবঙ্গ খেতে হবে।
৪. ডেন্টাল হাইজিন:
নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পেতে দিনে দুবার ব্রাশ করুন, মাউথওয়াশ দিয়ে গার্গল করুন এবং সময়ে সময়ে ফ্লস করুন। সমস্যা সমাধান না হলে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।
No comments:
Post a Comment