ডুমুরের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বলতে গেলে ডুমুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিন। এতে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং ক্যালরিও যথেষ্ট, এই সমস্ত উপাদান সুস্থ শরীরের জন্য উপকারী বলে মনে করা হয়।
ডুমুর খাওয়ার উপকারিতা
১. অ্যাজমা রোগীদের জন্য উপকারী
অ্যাজমা রোগীদের জন্য ডুমুর উপকারী। এটি শরীরের ভিতরের মিউকাস মেমব্রেন আর্দ্রতা পায় এবং কফ পরিষ্কার হয়। অ্যাজমা রোগীরা দুধের সঙ্গে খেতে পারেন।
২. স্থূলতা কমাতে সহায়ক
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার হওয়ায় ডুমুর ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এতে চর্বির পরিমাণও খুব কম পাওয়া যায়। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ডুমুর অন্তর্ভুক্ত করে আপনি ওজন কমাতে পারেন।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের খাদ্য তালিকায় ডুমুর অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই ফল ভিটামিন, পটাসিয়াম, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
৪. পেটের জন্য উপকারী
যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের জন্য ডুমুর খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। ডুমুর সেবনে পেট ব্যথা, গ্যাস এবং কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৫. যৌন সমস্যায় উপকারী
ডুমুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এটি শরীরকে অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে, যেসব পুরুষ যৌন সমস্যায় ভুগছেন তারা দুধের সাথে ডুমুর খেতে পারেন। এতে উপস্থিত খনিজ ও ভিটামিন নতুন কোষ তৈরি করে। এ কারণে পুরুষদের মুখে কোনো বলিরেখা থাকে না। উপরন্তু, এটি পুরুষদের উর্বরতা উন্নত করে।
ডুমুর খাওয়ার সঠিক উপায় কি?
১.প্রথমে তিন বা চারটি শুকনো ডুমুর সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন।
২.সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে ডুমুর ভিজিয়ে খান।
৩.রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment