পেটে ব্যথা, শক্ত মল, বদহজম, ক্লান্তি, অলসতা, মাথাব্যথা এবং মুখে ব্রণ কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান লক্ষণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে সাধারণ থেকে গুরুতর অনেক রোগ হতে পারে, তাই সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া জরুরি। অধিকাংশ মানুষের মনে যে প্রশ্ন জাগে তা হল কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার পর দুধ পান করা উচিত কি না? নিচে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন..
কোষ্ঠকাঠিন্যে দুধ পান করা উচিত নাকি?
আয়ুর্বেদিক ডাক্তার আবরার মুলতানি বলেন, আপনার যদি কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং পেট পরিষ্কার না হয়, তাহলে সরাসরি দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ দুধের খাবার বা দুগ্ধজাত খাবার হজম করতে পেটকে খুব পরিশ্রম করতে হয়। দুগ্ধজাত দ্রব্য হজম হতে পাকস্থলীর অনেক সময় লাগে। এমন পরিস্থিতিতে ঘন ঘন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাবেন না। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দই, বাটার মিল্ক উপকারী।
এভাবে দুধ খেলে উপকার পাবেন
কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে সাধারণত দুধ খাওয়া উচিত নয়, তবে এমন কিছু জিনিস রয়েছে যার সাথে কোষ্ঠকাঠিন্যে দুধ খাওয়া উপকারী প্রমাণিত হতে পারে।
ডাঃ আবরার মুলতানির মতে, এক গ্লাস উষ্ণ দুধে ২ চা চামচ গুড় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।এছাড়া এক গ্লাস দুধে ২টি শুকনো ডুমুর সিদ্ধ করে খান।এতে কোষ্ঠকাঠিন্যে উপশম হবে। সেই সঙ্গে ঘুমানোর সময় এক গ্লাস গরম দুধে ২ চা চামচ দেশি ঘি মিশিয়ে পান করুন, সকালে পেট সহজে পরিষ্কার হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সহজ প্রতিকার
১.পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
২.তরল খাবারে নারিকেল জল, সিরাপ, স্যুপ ইত্যাদি নিন।
৩.যোগব্যায়াম এবং ব্যায়াম করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৪.এর মাধ্যমে আপনি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকতে পারবেন।
৫.মিহি আটা, জাঙ্ক ফুড এবং ফাস্ট ফুড খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
৬.ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন।
৭.ফল এবং শাকসবজি বেশি পরিমাণে অন্তর্ভুক্ত করুন।
No comments:
Post a Comment