উত্তর দিনাজপুর: মিড ডে মিলের মেনুতে এখন রোজ ডিম। আর তাতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে বেড়েছে পড়ুয়াদের উপস্থিতি। যার ফলে কিছুটা হলেও সাফল্যের হাসি ফুটেছে অভিভাবকদের চোখে মুখে। ঘটনা চোপড়া ব্লকের।
মূলত করোনা আবহে প্রায় দীর্ঘদিন পঠনপঠন বন্ধ ছিল। এখনও সব কেন্দ্রে স্বাভাবিকভাবে পঠনপাঠন শুরু হয়নি। তবে তার মধ্যেও পড়ুয়াদের মাথা পিছু খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে কেন্দ্রগুলিতে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। আগে সেখানে মিড ডে মিলের মেনুতে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ডিম ভাত থাকত। বাকি দিনগুলিতে খিচুড়ি বা সবজি ভাত পরিবেশন করা হত। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সপ্তাহে প্রায় প্রতিদিন ডিমভাত চালু হওয়ায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেকটা বেড়েছে কিছু কেন্দ্রে তালিকাভুক্ত প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি পড়ুয়া আসছে বলে কর্মী সহায়িকারা দাবী করছেন।
এদিকে পড়ুয়া সংখ্যা বাড়লেও প্রতিদিন খাবারের মেনুতে ডিম চালু হওয়াতে কর্মীদের ধারবাকি বেড়েই চলেছে বলে অভিযোগ। তারা প্রতিমাসে বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবী তুলেছেন। ধনীরহাট অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী কবিতা মণ্ডল সিংহ অবশ্য বলেন, 'আগেও ধারবাকিতে কিছু জিনিস কিনতে হত। দু'মাস অন্তর টাকা মিলত। সেটা বড় সমস্যা নয়। এখন প্রায় প্রতিদিন ডিম ভাত চালু হওয়ায় পড়ুয়াদের উপস্থিতি অনেকাংশে বেড়েছে।'
চোপড়া ব্লকের অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী সহায়িকাদের সংগঠনের (তৃণমূল) সভাপতি গায়ত্রী সরকার বিশ্বাস বলেন, 'ব্লকে মোট ৩৬২ টি কেন্দ্র রয়েছে । সপ্তাহে ছয় দিন ডিমভাত চালু হওয়ায় সব কেন্দ্রে পড়ুয়াদের উপস্থিত বেড়েছে।'
No comments:
Post a Comment