শতাধিক বছরের পুরনো 'মায়ের মন্দির'! এখানে এলে কেউ খালি হাতে ফিরে যান না - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Friday 15 April 2022

শতাধিক বছরের পুরনো 'মায়ের মন্দির'! এখানে এলে কেউ খালি হাতে ফিরে যান না


সৌমিতা চক্রবর্তী, প্রেসকার্ড নিউজ: মাক্রাপাড়া মন্দির - ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো মায়ের মন্দির। বর্তমানে যিনি মন্দিরের পূজারি, তাঁরা তিন‌ পুরুষ ধরে এই মন্দিরে মায়ের পুজো করে আসছেন নিষ্ঠা সহকারে। মন্দিরের গা ঘেঁষে রয়েছে ভুটান পাহাড়। মন্দির যাওয়ার রাস্তায় চলতে চলতেই স্পষ্ট দেখা যায় এই পাহাড়। চোখে পড়বে ভুটানের সিমেন্ট ফ্যাক্টরিও।



তবে, এখন যে রাস্তা দেখা যাবে, আগে এমনটা ছিল না। পাহাড়ি পথ বেয়ে পায়ে হেঁটে উঠতে হত এখানে। পাহাড়ি রাস্তার মাঝে মাঝে সেইসময় অবশ্য সিমেন্টের সিঁড়ি ছিল; এই ধরুন ২০৮ খানা, যার ধ্বংসাবশেষ নবনির্মিত এই মন্দিরের সিঁড়ির নীচে আজও রয়ে গিয়েছে। আরও একটা আকর্ষণীয় জিনিস ছিল বটে, তা হল হালকা নীল বর্ণের ঝাউ গাছ, যদিও বর্তমানে তাদের দেখা মেলেনা। হয়তো কালের স্রোতে তারা হারিয়ে গেছে!



মান্যতা রয়েছে, এই মন্দিরে এসে পুজো দিলে মা সকলের মনস্কামনা পূর্ণ করেন। এখানে পাঁঠা বলিও হয়। মায়ের মন্দিরের পাশেই রয়েছে মহাদেবের ছোট্ট একটি মন্দির। দূরদূরান্ত থেকে ভক্তরা আসেন‌ মায়ের কাছে কাতর আবেদন-আর্তি নিয়ে। মা কাউকেই খালি হাতে ফেরান না। 


মন্দিরে পুজো শুরু হয় প্রতিদিন ১১ টা থেকে ১২ টার মধ্যে। যদিও পরে এলেও পুজো দিতে পারবেন ভক্তরা। কিন্তু সাধারণত ১ টার পর পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা যায় না। তাই যতটা সম্ভব সময়ের মধ্যেই আসা ভালো। নাহলে- পুজো না দিয়ে কেবল দর্শন করেই ফিরে যেতে হবে। 



আর হ্যাঁ, মন্দিরে ওঠার আগেই নীচে অনেক দোকান-পাট আছে, সেখান থেকেই ফুল-বেলপাতা, মিষ্টি, ধূপ-দ্বীপ সহ অন্যান্য পুজোর সামগ্ৰী পেয়ে যাবেন। সাধ্যমত সেগুলো নিয়ে দক্ষিণা সহ মায়ের পুজোয় সেসব নিবেদন করতে পারেন। পুজো শেষে ঘণ্টা বাজিয়ে ৩ বার মায়ের মন্দির পরিক্রমা করে, কপালে মায়ের পায়ে ছোঁয়ানো সিঁদুরের টিপ দিয়ে, চরণামৃত নিয়ে মহাদেবের দর্শন করার পর, ধূপ-দ্বীপ জ্বেলে তবেই সম্পন্ন হয় পুজো। 




এই মন্দির উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার বীরপাড়া থেকে আরও ১২-১৫ কি.মি দূরে। বীরপাড়া চৌপথী পর্যন্ত এলে আপনি অনায়াসে ছোট গাড়ি ভাড়া পেয়ে যাবেন। জন প্রতি ভাড়া দিতে হয় সেই গাড়িতে। আপনারা চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি বা ছোট গাড়ি রিজার্ভ করেও আসতে পারেন। মায়ের দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে উপরি পাওনা- ডুয়ার্সের মনমোহনী রূপ, সবুজে ঢাকা চা বাগান। কী ভাবছেন! একবার মায়ের দর্শন করে আসা যেতেই পারে, তাই তো!

1 comment:

Post Top Ad