এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে জনগণ একটি আশ্চর্যজনক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হবে। কারণ পৃথিবী থেকে শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল এবং শুক্রকে একটি লাইনে দেখা যাবে যা, আপনি খালি চোখেই দেখতে পাবেন। এই বিষয়ে তথ্য দিয়ে ডাঃ শুভেন্দু পট্টনায়েক, ডেপুটি ডিরেক্টর, পাঠানি সামন্ত প্ল্যানেটোরিয়াম, ভুবনেশ্বর বলেছেন যে, এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনাটি সম্পূর্ণ ১০০০ বছর পরে ঘটতে চলেছে।
ডাঃ শুভেন্দু পট্টনায়েক বলেন, আকাশে এই মহাজাগতিক ঘটনাটি পরিষ্কারভাবে দেখতে হলে আপনাকে দূষণমুক্ত এলাকায় থাকতে হবে, আপনি যদি পাহাড়ের চূড়ায় বা পাহাড়ি এলাকায় থাকেন, তাহলে আপনি পরিষ্কারভাবে দেখতে পারবেন এই অনন্য ঘটনা। এই গ্রহগুলো দেখতে টেলিস্কোপেরও প্রয়োজন হবে না।
শনি, বৃহস্পতি, মঙ্গল এবং শুক্র এক রেখায় আসার মানে এই নয় যে এই সমস্ত গ্রহ একে অপরের খুব কাছাকাছি থাকবে, তারা মহাকাশে বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে থাকবে। কিন্তু যখন তারা একটি সরলরেখায় থাকবে তখন এগুলো পাশাপাশি দেখা যাবে। সূর্যাস্তের আধা ঘন্টা পর এই গ্রহগুলো দেখা যাবে। আপনার যদি গ্রহগুলি খুঁজে পেতে কোনও সমস্যা হয় তবে আপনি আপনার স্মার্টফোনে স্টার ট্রেকার অ্যাপটিও ব্যবহার করতে পারেন।
এই ৪ গ্ৰহ নিয়ে কিছু কথা-
শনি: শনি সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ এবং বৃহস্পতির পরে সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। এই গ্রহের চারপাশে বলয় থাকায় এটিকে সৌরজগতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় গ্রহ বলা হয়।
বৃহস্পতি: এটি আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ, যা গ্যাসের একটি গ্রুপ। আমাদের দেশে এই গ্রহটি 'গুরু' নামেও পরিচিত। ইংরেজিতে এটি 'জুপিটার' নামে পরিচিত।
মঙ্গল: এর রং লাল, তাই একে লাল গ্রহও বলা হয়। মঙ্গল পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের গ্রহ।
শুক্র: এটি সৌরজগতের সূর্যের নিকটতম গ্রহগুলির মধ্যে একটি। শুক্র তার অক্ষে পূর্ব থেকে পশ্চিমে ইউরেনাসের ঘূর্ণনের একই দিক দিয়ে ঘোরে। শুক্র গ্রহে সূর্যের আলো পৌঁছাতে প্রায় ৬ মিনিট সময় লাগে।
No comments:
Post a Comment