অন্ধ্র উপকূলে পৌঁছেছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। সমুদ্র সৈকতে তার শক্তি হারিয়েছে এবং খুব শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দুপুর 12টার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে বলা হয়, তেজ না থাকায় ঝড়ের গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আজ,বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি পৌঁছে যাবে অন্ধ্রের উত্তর উপকূলে। ঘূর্ণিঝড় অশনি বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম থেকে 40 কিলোমিটার এবং নরসাপুর থেকে 50 কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, এখনও ল্যান্ডফলের কোনও সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উড়িষ্যার উপকূলে। বিশাখাপত্তনম এবং পুরিতে উত্তাল সমুদ্র। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিপদ এড়াতে অন্ধ্রপ্রদেশে অনেক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দক্ষিণ-মধ্য রেলওয়ে বুধবার প্রায় 36টি ট্রেন বাতিল করেছে। অনেক বিমানও বাতিল করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর অন্ধ্র ও ওড়িশার উপকূলে জেলেদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাদের সমুদ্রে যাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দীঘা মন্দারমনি সমুদ্র সৈকতেও বিনোদনমূলক কার্যক্রম এবং খেলাধুলা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ।
বাংলায় অশনির তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদীয়া জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা ছিল।
No comments:
Post a Comment