আমাদের দেশে মাছ চাষের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেকারত্বের সমস্যা দূর করার পাশাপাশি মৎস্য চাষে দেশের আমিষভোজী মানুষের চাহিদাও পূরণ হচ্ছে। প্রাণীজ আমিষের অন্যতম উৎস মাছ।
কর্মসংস্থান, বৈদেশিক মুদ্রা আয় এবং পুষ্টি প্রদানে মাছ ধরা একটি চমৎকার ভূমিকা পালন করে। মাছ ধরার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে।
মাছ চাষের আগে পুকুরের মাটি ও জল বিশুদ্ধ করা প্রয়োজন। এ জন্য পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়। এটি মাছের জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে জলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও ক্যালসিয়াম বৃদ্ধির পাশাপাশি পুকুরের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে চুন প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
তবে চুন দেওয়ার আগে এর প্রয়োগ সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। চুন প্রয়োগের আগে পুকুরের মাটি ও জল অ্যাসিড ও দূষণমুক্ত হতে হবে। রোগের জীবাণু ও পরজীবী ধ্বংস করতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং জলে ক্যালসিয়াম বাড়াতে মাছের প্রয়োজন।
অন্যদিকে পুকুরের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে চুন প্রয়োগ করতে হবে। চুনের সঠিক পরিমাণ পুকুরের মাটি ও জলের মানের উপর নির্ভর করে। সাধারণত পুকুরের তলদেশে শুকনো শিলা থাকলে প্রতি শতাংশে 1 কেজি হারে চুনের গুঁড়া সারা পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে।
তবে অম্লতা 4 হলে 10 কেজি, 4.5 হলে 5 কেজি, 5.5 হলে 3 কেজি, 8.5 হলে 2 কেজি দিতে হবে। চুন প্রয়োগের 2-3 দিন পর পুকুরে জল সরবরাহ করতে হবে। জল শুকিয়ে না গেলে জল ভর্তি পুকুরে একই হারে চুন মিশিয়ে ঢালু পাড়ে পুকুরের সর্বত্র ছিটিয়ে দিতে হবে। কারণ পুকুরের কাছাকাছি অনেক ধরনের পোকামাকড় আছে, তারা মারা যাবে।
তবে চুন লাগানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে চুন যেন চোখে না পড়ে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। টিনের ড্রাম বা সিমেন্টের গর্ত বা গর্ত পুকুরের পাশে ভিজিয়ে দিতে হবে। আপনি যে পাত্রটি ভিজিয়ে রাখতে চান তার মুখের উপর বার্লাপের বস্তা রাখুন। কারণ সেই চুন মুখে লেগে থাকে না।
চুন দেওয়ার আগে 5 ঘণ্টা জলের ভিজিয়ে রাখতে হবে। চুন ভিজে গেলেই গরম হয়ে যায়। তবে ঠান্ডা হওয়ার পর চুন দিতে হবে। রোদে সময় দেওয়াই ভালো। খেয়াল রাখতে হবে যেন বাতাসের বিপরীত দিক থেকে মুখে চুনের ছিটা না হয়। হঠাৎ চোখে ঢুকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে নলকূপের পরিষ্কার জল দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন।
চুন প্রয়োগের 2-3 দিন পর পুকুরে জল সরবরাহ করতে হবে। জল শুকিয়ে না গেলে জল ভর্তি পুকুরে একই হারে চুন মিশিয়ে ঢালু পাড়ে পুকুরের সর্বত্র ছিটিয়ে দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment