অনেকেই তাদের ভাগ্য পরীক্ষা করতে লটারির টিকিট কিনে থাকেন। ভাগ্যের শিকল ভাঙলেই হাতে আসতে পারে কয়েক লাখ টাকা। এই আশায় মানুষ লটারির টিকিট কেনেন। অনেককে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয়। তবে টিকিট কেনার আগে দেখে নেওয়া জরুরি। আপনি কোন কোম্পানি থেকে টিকিট কিনছেন তা বুঝতে হবে। লটারির টিকিট আগে শুধুমাত্র দোকানেই পাওয়া যেত। আর এখন এ ধরনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। মিজোরাম সরকার সম্প্রতি বলেছে যে, পশ্চিমবঙ্গে, রাজ্য সরকারের নামে লটারির টিকিট বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু তার সঙ্গে মিজো সরকারের কিছু করার নেই। বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মিজো সরকার জানান, ‘টাইগার বেঙ্গল’, ‘টাইগার হিল’ বা ‘মেট্রো’ নামে বেশ কিছু টিকিট বিক্রি হচ্ছে। আর এসবই মিজোরাম সরকারের লটারির টিকিট হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। মিজোরামের নাম উল্লেখ করে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করা হয়েছে। মিজোরাম সরকার একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, তারা বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে কোনও লটারির টিকিট বিক্রি করছে না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, অন্যান্য রাজ্যের মানুষকেও এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। মিজোরাম সরকার জানিয়েছে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। লটারির টিকিট www.ifsl.mizoram.gov.in নামে একটি ওয়েবসাইটে বিক্রি করা হয়, যা আসল। আসল টিকিট সেখানে বিক্রি হয়। বিক্রি হওয়া বাকি টিকিটগুলোর কোনও টিই মিজো সরকারের নয়।
লটারির টিকিট জাল হলে পুরষ্কার পাওয়া তো দূরের কথা, যে টাকা খরচ হবে তাও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব লটারির টিকিটও রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারি বিভাগ সপ্তাহের প্রতিদিন ৬টি লটারি পরিচালনা করে। এই লটারিগুলো হল প্রিয়া বঙ্গলক্ষ্মী তিস্তা, প্রিয়া বঙ্গলক্ষ্মী তোরসা, প্রিয়া বঙ্গলক্ষ্মী রায়ডাক, প্রিয়া বঙ্গভূমি ভাগীরথী, প্রিয়া বঙ্গভূমি অজয়, প্রিয়া বঙ্গশ্রী দামোদর, প্রিয়া বঙ্গশ্রী ইছামতি। ভাগ্য ভালো থাকলে ঘরে বসেই হতে পারেন কোটিপতি।
No comments:
Post a Comment