সমুদ্রসীমায় চীনের দখলদারিত্ব ও সম্প্রসারণবাদী নীতি কারও কাছে গোপন নয়। আটটি চীনা যুদ্ধজাহাজ সোমবার জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপ থেকে যাত্রা করেছে, যার পরে বলা হচ্ছে যে এই পিএলএ যুদ্ধজাহাজগুলি তাইওয়ানের সাথে চলমান উত্তেজনার মধ্যে একটি মিশনে গেছে। চীনা সংবাদমাধ্যম এবং জাপানের প্রতিরক্ষা বিভাগের মতে, ওকিনাওয়া এবং মিয়াকিজিমার মধ্যে এই যুদ্ধজাহাজগুলো দেখা গেছে।
চীনা সংবাদমাধ্যম বলছে, এই এলাকা থেকে জাহাজ চলে যাওয়ায় বোঝা যাচ্ছে চীনা নৌবাহিনীর শক্তি বেড়েছে। জাপান সরকার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, এই যুদ্ধজাহাজগুলো পর্যবেক্ষণের জন্য একটি হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার, পি-1 মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট এবং পি-3সি অ্যান্টি-সাবমেরিন এয়ারক্রাফ্ট মোতায়েন করা হয়েছে।
আজকাল মার্কিন সেনাবাহিনীর একটি দলও জাপানে অবস্থান করছে। চীনা সেনাবাহিনীর এই তৎপরতাও পর্যবেক্ষণ করছে আমেরিকা। চীনের যে জাহাজগুলো অতিক্রম করেছে তার মধ্যে অন্তত আটটি যুদ্ধজাহাজ ছিল। এতে ডেস্ট্রয়ার, এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারও অন্তর্ভুক্ত ছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস লিখেছে, 'তাইওয়ানে একটি বড় মিশন পরিচালনার আগে চীনের প্রস্তুতি ও সক্ষমতা দেখানোর একটি পদক্ষেপ।'
চীনে বর্তমানে দুটি বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। এই বছর তৃতীয় এয়ারক্রাফ্ট কমিশনও পিএলএ বহরে যোগ দিতে পারে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়াকো থেকে সরাসরি গিয়ে চীনা যুদ্ধজাহাজের একটি বহর প্রশান্ত মহাসাগর হয়ে বাশি চ্যানেল হয়ে তাইওয়ানে পৌঁছে দক্ষিণ চীন সাগরে অনুশীলন করতে পারে।
এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ারের সাথে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারও ছিল। জাপানের তরফে জানানো হয়েছে, ডিসেম্বরের পর এই প্রথম এই এলাকা দিয়ে গিয়েছে চীনা যুদ্ধজাহাজ। গত বছরও চীনের যুদ্ধজাহাজ একইভাবে বেরিয়েছিল।
No comments:
Post a Comment