পশ্চিম মেদিনীপুর: একশো দিনের কাজের সময় খনন কার্য চলাকালীন উদ্ধার প্রাচীন ভগ্ন নারীমূর্তি। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য, পশ্চিম মেদিনীপুরের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাকরাজিত গ্রামে। কাকরাজিত গ্রামে মহাপ্রভু মন্দির সংলগ্ন কুন্ডুপুকুর খনন করতে গিয়ে একশো দিনের শ্রমিকরা ভগ্ন এক নারী মূর্তি খুঁজে পান। ইতিহাসের এই সুন্দর নিদর্শনটি সময়কাল এবং কীসের মূর্তি, তা গবেষণার বিষয়। তবে, গবেষকদের একাংশ মনে করছেন এটি পঞ্চম কিংবা ষষ্ঠ শতকের তৈরী। আবার গঠনশৈলী দেখে একাংশ মনে করছেন এটি সপ্তম কিংবা অষ্টম শতকে নির্মিত।
বিভিন্ন সময়ে এই গ্রাম থেকে পাওয়া বিষ্ণুমূর্তি সহ বিভিন্ন মূর্তি গাছের তলায় এলাকাবাসীরা সযত্নে রেখেছেন এবং তাঁকে নিত্যদিন পুজাও করেন। ফলত এদিন পুকুরের খননকাজ যে পাওয়া এই মূর্তিটিও স্থান হতে পারে কোনও গাছের নিচে।
বাংলা-ওড়িশা সীমান্তবর্তী এলাকা দাঁতনের অগাধ ইতিহাস লুকিয়ে আছে মাটির বুকে। মাটির নিচেই আছে অজানা নানান কাহিনি। সংস্কৃতির ধারক ও বাহক যেমন দাঁতন, তেমনই প্রাচীন দণ্ডভুক্তি এই গ্রামে আছে নানান প্রাচীন কথা, ইতিহাসের একাধিক ছাপ।
কখনও বৌদ্ধ মহাবিহার, আবার কখনও রেবন্তের মূর্তি উঠে আসে মাটির নীচ থেকে। অর্থাৎ প্রাচীন এই দণ্ডভুক্তি গ্রামটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ। এখনও হয়তো মাটির নিচে খনন করলে পাওয়া যাবে নানা অজানা কাহিনী। দাঁতনের ইতিহাস হাত লাগলে কিংবা মাটি খনন করলে পাওয়া যেতে পারে নানান পুরোনো নিদর্শন। অচিরেই পাওয়া এই সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শনকে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করুক প্রশাসন, দাবী দাঁতনবাসীর।
No comments:
Post a Comment