জলপাইগুড়ি: পেটে পাথর, তাই অস্ত্রোপচার করতে হবে, এই বাহানায় পেট কেটে এক ব্যক্তির কিডনি নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ধূপগুড়িতে। এই পাচার চক্রে যুক্ত অভিযোগে এক মহিলাকে গণপিটুনিও দেওয়া হয়। মৃতের নাম কিরণ মণ্ডল (৫৫), বাড়ি ময়নাগুড়ি ব্লকের চুড়া ভাণ্ডার এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক ব্যক্তিকে ধূপগুড়ির বেসরকারি হাসপাতাল থেকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের চিকিৎসকরা জানায়, অনেকক্ষণ আগেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা সৃষ্টি হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে কাছে সঞ্জয়নগর কলোনি চত্বরে।
মৃতের ভাই নারায়ন মণ্ডল বলেন,"দাদার পেটে পাথর হয়েছিল৷ দালালের মাধ্যমে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। দেখে মনে হচ্ছে কিডনি পাচার হয়েছে। তদন্ত চাই।"
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিডনি পাচার নিয়ে মুখ খোলেনি, তবে এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত এক মহিলা পালানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তখনই ওই মহিলাকে ধরে গণপিটুনি দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত মহিলাকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি পুলিশ এও জানায়, এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে। অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে।
No comments:
Post a Comment