মধ্যপ্রদেশের নিমুচে একজন বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বলা হচ্ছে, বৃদ্ধকে মুসলিম বলে মারধর করা হলেও পরে জানা গেল তার নাম ভানওয়ারলাল জৈন। এই অভিযোগ এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার ভিডিও ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
প্রধান অভিযুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে বিজেপি নেতা দিনেশ কুশওয়াহাকেই । মনসা বিজেপি মণ্ডলের সভাপতি মুকেশ ডাঙ্গির মতে, অভিযুক্ত নগর পরিষদের প্রাক্তন কাউন্সিলর বিনা কুশওয়াহার স্বামী। তিনি বর্তমানে বিজেপি সংগঠনে কোনো পদে অধিষ্ঠিত নন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনও তথ্য নেই। বলা হচ্ছে, পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তরা পলাতক, যাদের খোঁজ চলছে।
এই ঘটনায় বিরোধীদের নিশানায় এখন মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সরকার। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। এই ঘটনায় কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ বলেন, রাজ্যে কী হচ্ছে। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, "মধ্যপ্রদেশে কী ঘটছে...? সিওনি, গুনা, মহু, মন্ডলায় আদিবাসীদের পিটিয়ে মারার ঘটনা এবং এখন রাজ্যের নিমুচ জেলার মনসায় ভানওয়ারলাল জৈন নামে এক বয়স্ক ব্যক্তি। সিওনির মতো এখানেও বিজেপির আসামি সামনে আসছে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা কোথায়, আর কতদিন এভাবে মানুষ খুন হতে থাকবে...? অপরাধীরা এমন কেন? সরকারের মনোযোগ শুধু অনুষ্ঠানের দিকে।" নিমচের ঘটনায় কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি বলেন, বিজেপির লোকেরা যে কাউকে মুসলিম সন্দেহে হত্যা করবে। এই বিষয়টির তদন্ত হওয়া উচিত এবং অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত, কারণ এই ভিডিওতে অনেক লোক দেখা যাচ্ছে।
মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র এগিয়ে এসে লিঞ্চিংয়ের এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি জানান, নিহত ব্যক্তি একজন বৃদ্ধ এবং তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি এখানে ঘুরে বেড়ান এবং সঠিকভাবে পরিচয় জানাতে পারেননি। তিনি জানান, ঘটনার অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা ভিকটিমের পরিবারের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মধ্যপ্রদেশের নিমুচে মানসিকভাবে দুর্বল এক বৃদ্ধকে কিছু লোক মারধর শুরু করে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, তুমি মুসলমান কি না, এতে বৃদ্ধকে অনুনয় বিনয় করতে দেখা যায়। কিন্তু এই লোকেরা তাকে ক্রমাগত মারধর করতে থাকে। বলা হয়েছে যে প্রবীণ অভিযুক্তকে তার আধার কার্ডও দেখিয়েছিলেন। এর পর বৃদ্ধ গুরুতর আহত হন এবং মারা যান। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
No comments:
Post a Comment