পৃথিবীতে যত দেশ আছে তত উপজাতি আছে। বড় কথা হল এই উপজাতিগুলি শত শত বছর ধরে বিদ্যমান এবং তারা তাদের বিভিন্ন ঐতিহ্য ও বিশ্বাস অনুসরণ করে আসছে। কিন্তু উন্নয়ন যত বাড়ছে, এসব উপজাতির অস্তিত্বও হুমকির মুখে। ভারতেও এরকম অনেক উপজাতি রয়েছে। কিন্তু আজ আমরা আপনাকে বিশ্বের এমন একটি উপজাতি সম্পর্কে বলতে যাচ্ছি যা বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত হারে হ্রাস পাচ্ছে এবং এই উপজাতিটি সবচেয়ে বেশি বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
আমাজন রেইনফরেস্টে এরকম প্রায় ১০০ প্রজাতি রয়েছে, যাদের জন্য এই রেইন ফরেস্ট তাদের বাড়ি।এর মধ্যে আওয়া উপজাতি আমাজন জঙ্গলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। অবৈধ কাঠ কাটার ব্যবসার কারণে আমাজনে বসবাসকারী এই উপজাতিটি বেশ বিপাকে পড়েছে। ধীরে ধীরে ধ্বংস হচ্ছে তাদের ঘর, যার কারণে তাদের অস্তিত্বও বিলুপ্ত হচ্ছে।
পর্তুগিজদের আগমনের আগে, অর্থাৎ প্রায় ৫০০ বছর আগে আওয়ারা উত্তর ব্রাজিলের পারা রাজ্যে বসবাস করত। সেখানে তারা একটি ছোট গ্রামে থাকতেন এবং কৃষিকাজ করত। কিন্তু হানাদারদের আগমনের পর এই উপজাতি অনেক বিদ্রোহ করে এবং বাধ্য হয়ে স্থান ত্যাগ করে তাদের পালিয়ে যেতে হয়। তারপর থেকে তারা বনজারা উপজাতিতে পরিণত হয়।
এখন এই উপজাতিতে মাত্র ৮০ জন সদস্য অবশিষ্ট আছে। কিছু সদস্য আল্টো তুরিয়াচু রিজার্ভে বসতি স্থাপন করেছে, আবার কেউ কেউ চলাফেরা করা বেছে নিয়েছে। এভাবে তারা বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে সক্ষম হয়।এই উপজাতি গুয়াজা ভাষায় কথা বলে। আজও তারা তাদের পূর্বপুরুষদের মতো তীর-ধনুক ব্যবহার করে। যে উপজাতিটি এখন বসতি স্থাপন করেছে তাদের কাছেও গুলি বন্দুক আছে, তবে তারা খুব তীক্ষ্ণ তীর-ধনুকও রাখে।এই লোকেরা কৈপিবারা খায় না কারণ তারা তাদের পবিত্র মনে করে। এ ছাড়া এই লোকেরা বাদুড়ও খায় না কারণ এতে তাদের মাথায় ব্যথা হয়। এই মানুষগুলোর ভেতরে এতটাই সহানুভূতি থাকে যে, শিকার করতে গিয়ে কোনো পশুর ছোট বাচ্চা পেলেই সেটাকে সঙ্গে করে বাড়িতে নিয়ে আসে এবং নিজের সন্তানের মতো লালন-পালন করে।ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়াবাসীর বৈধ জমির ৩৫ শতাংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।
No comments:
Post a Comment