গ্রীষ্মকাল এসে গেছে। প্রচণ্ড গরমে শরীর সুস্থ রাখাটাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। শরীরের পাশাপাশি মুখের দিকেও নজর দেওয়া খুবই জরুরি। গ্রীষ্মকাল আমের হলেও এই মৌসুমে আপনি কাঁচা আমও খেতে পারেন। ভারতে প্রায় সবাই কাঁচা আম পছন্দ করে। কাঁচা আম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কাঁচা আমে অনেক ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেমন ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ইত্যাদি যা স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। এটি শুধু স্বাস্থ্য ভালো রাখে না পেট সংক্রান্ত যাবতীয় সমস্যাও দূর করে। তাহলে চলুন আজকে বলি গরমে কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা।
কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা
১- হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে- কাঁচা আমের মধ্যে কিছু উপাদান রয়েছে, যা হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করতে উপকারী প্রমাণিত হয়। শুধু পেঁয়াজ নয়, কাঁচা আমও গরমে হিটস্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। শরীরে পানির অভাব পূরণ করে কাঁচা আম। তাই বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে কাঁচা আম খাওয়া উচিত।
২- চিনির মাত্রা কমায়- যারা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের গ্রীষ্মে কাঁচা আম খাওয়া উচিত। কাঁচা আমে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা যেকোনো শরীরে আয়রনের যোগান পূরণ করতে সাহায্য করে।
৩- অ্যাসিডিটি দূর করে- গ্রীষ্মের মৌসুমে প্রায়ই মশলাদার কিছু খাওয়ার অনুভূতি হয়, কিন্তু এমন খাবার খেলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে থাকে। এমন অবস্থায় অ্যাসিডিটি দূর করতে কাঁচা আমের সঙ্গে কালো লবণ খান, এতে আপনি মশলাদার খাবেন এবং আপনার স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তারা কাঁচা আম খেতে পারেন।
৪- অন্যান্য সমস্যা থেকে মুক্তি- কাঁচা আম খেলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনিও যদি এসব নিয়ে বিরক্ত হন, তাহলে অবশ্যই কাঁচা আম খান।
ডায়রিয়া
ডায়রিয়া
বদহজম
অর্শ
আমাশয়
কোষ্ঠকাঠিন্য
অম্লতা
কতটুকু খেতে হবে
যদিও একজন সুস্থ মানুষের দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কাঁচা আম খাওয়া উচিত, কিন্তু যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে তাদের শুধুমাত্র ১০ গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা আম খাওয়া উচিত।
No comments:
Post a Comment