ভারতের প্রতিটি বাড়িতে ঘি খাওয়া হয়। ঘি শুধু আপনার খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ঘিতে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ ও সি। শরীরের তাপ কমাতে ঘি সবচেয়ে উপকারী। মসুর ডাল হোক বা রোটি, ঘি প্রতিটি খাবারেরই স্বাদ। গরম রুটিতে ঘি যোগ করে লবণ মাখিয়ে শিশুরা খুব আনন্দের সাথে খায়। তাহলে চলুন আজকে জানাই গরমের মৌসুমে ঘি খাওয়া কতটা উপকারী।
হজমশক্তি উন্নত করে
সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজমশক্তি ভালো হয়। ঘিতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য যা আপনাকে রোগ থেকে রক্ষা করে। আপনি যদি আপনার হজম প্রক্রিয়ার উন্নতি করতে চান তবে আপনি ঘি খেতে পারেন।
ঘি শরীর ঠান্ডা করে
কিছু স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের মতে, দেশি ঘি খেলে শরীর ও মন দুটোই শীতল হয়। কারণ ঘি প্রদাহ কমাতে পারে এবং শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করে। স্বাভাবিকভাবেই ঘি শরীরের জন্য শীতল।
ঘি অভ্যন্তরীণ আর্দ্রতার ভারসাম্য বজায় রাখে
ঘি এর ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। গ্রীষ্মকালে ঘি খেলে আপনার শরীর সহজে হাইড্রেটেড হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ঘিও মুখের জন্য উপকারী।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
আমরা সবাই জানি ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। ঘিতে রয়েছে বিউটারিক অ্যাসিড, একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ঘি ভিটামিন এ এবং সি এর একটি ভালো উৎস। প্রতিদিনের খাবারের সঙ্গে ঘি খাওয়া শরীর ও মুখের জন্য উপকারী।
No comments:
Post a Comment