আপনিও যদি সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় ক্লান্ত বোধ করেন বা কোনো কাজ করতে করতে তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়েন, তাহলে তা শরীরে রক্তের অভাবের কারণে হতে পারে। আজকাল ব্যস্ত জীবনযাপনের কারণে মানুষের খাদ্যাভাস বিঘ্নিত হয়েছে, যার কারণে শরীর সঠিক পুষ্টি পায় না এবং মানুষ রক্তস্বল্পতা বা স্থূলতার মতো সমস্যায় পড়তে শুরু করে। আপনার যদি দুর্বলতা এবং ক্লান্তিও থাকে, তাহলে আপনার খাদ্যতালিকায় বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। চলুন জেনে নিই বিটরুট সালাদ তৈরির পদ্ধতি ও উপকারিতা-
বিটরুট সালাদ তৈরির উপকরণ-
- বিটরুট 4
- পুদিনা পাতা 5
- ফ্রেশ ক্রিম 80 গ্রাম
- সরিষার পেস্ট 1 চা চামচ
- বাদাম 4
- এক চিমটি শিলা লবণ
- চিমটি কালো মরিচ
- ধনে পাতা
কিভাবে বিটরুট সালাদ বানাবেন-
বিটরুট সালাদ তৈরি করতে প্রথমে বিটরুট সিদ্ধ করে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। এরপর পুদিনা পাতা ভালো করে ধুয়ে ভালো করে কেটে আলাদা করে রাখুন। এবার একটি পাত্রে কাটা বিটরুট, পুদিনা, ফ্রেশ ক্রিম, সরিষার পেস্ট, বাদাম, লবণ এবং গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মেশান। এটি যোগ করুন এবং মিশ্রিত করুন। এবার ধনে দিয়ে সাজিয়ে এই সালাদ পরিবেশন করুন।
বিটরুট সালাদ খাওয়ার উপকারিতা-
খালি পেটে বিটরুট খেলে শরীরে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ হয়।
খালি পেটে বিটরুট খেলেও শরীরে পানি ধারণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
আপনি যদি স্থূলতায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার ডায়েটে বিটরুট অন্তর্ভুক্ত করুন। বিটরুট ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বীটে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য বিটরুট বিশেষ উপকারী। বিটরুট ও গাজরের জুস পান করলে শরীরে প্রাকৃতিক সুগার পাওয়া যায় এবং বিপি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
বিটরুট খেলে ত্বকও লাল হয়ে যায়। বিটরুট ত্বকের জন্য উপকারী। ত্বক পরিষ্কার।
No comments:
Post a Comment