ঘুমের অভাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি কী? কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? জেনে নিন - press card news

Breaking

Post Top Ad

Post Top Ad

Thursday 12 May 2022

ঘুমের অভাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি কী? কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন? জেনে নিন


অনেক অভিভাবকই জানেন না তাদের সন্তানের ঘুম না আসার কারণ কী?  অনেক বাড়ির শিশুরা ঘুমের মধ্যে বকবক করে, ভীতিকর স্বপ্ন দেখে চিৎকার করে, ঘুমের মধ্যে হাঁটা শুরু করে, কিন্তু অভিভাবকরা এটিকে শিশুর অভ্যাস বলে উপেক্ষা করে এবং শিশুর রোগ বাড়তে থাকে।  ফলাফল- শিশু শুধু পর্যাপ্ত ঘুমই পায় না, অনেক সময় তার শারীরিক-মানসিক বিকাশও বন্ধ হয়ে যায়।  


শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানাচ্ছেন- চাইল্ড স্পেশালিস্ট ড. সমীর দলওয়াই।  ডাঃ ডালওয়াই এর মতে, “পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ঘুম আমাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে। 


 ঘুমের মাধ্যমে আরও হরমোন সক্রিয় হয়, যা ভাল ব্যক্তিগত বিকাশের দিকে পরিচালিত করে।  বিশেষ করে ঘুম শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে দারুণ প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাবের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলির কারণে নিম্ন আইকিউ, স্ট্রেস, বিরক্তি, ক্লান্তি, কাজে মনোযোগের অভাব, হাইপারঅ্যাকটিভিটি ইত্যাদি হতে পারে।  এই ধরনের যে কোনও পরিস্থিতিতে, চিকিৎসার প্রয়োজন।  


নিদ্রাহীনতার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর রুটিন বা ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করে ঘুমের সমস্যা দূর করা যায়।  কিন্তু এই অভিযোগ এক মাসের বেশি হলে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিৎ।  সমস্যা শারীরিক হোক বা মানসিক, দুটোই ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে, সময়মতো চিকিৎসা না হলে।  ঘুম পেতে যা করতে হবে -


 * চেষ্টা করুন আপনার ঘুম ও জাগার সময় যেন সবসময় একই থাকে।


  * সম্ভব হলে আপনার লাইফস্টাইল প্যাটার্ন পরিবর্তন করুন, যেমন অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় আসা, তাড়াতাড়ি খাওয়া, তাড়াতাড়ি ঘুমানো এবং খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা ইত্যাদি।


  * বাড়িতে বা বাইরে গভীর রাতের কার্যকলাপ হ্রাস করুন।  


* গভীর রাত পর্যন্ত বাচ্চাদের বাচ্চাদের অনুষ্ঠান দেখতে দেবেন না এবং অভিভাবকদেরও দেখা উচিৎ নয়।  অর্থাৎ বাচ্চাদের ঘুমানোর জন্য ঘরের পরিবেশ শান্ত রাখুন।


  * ঘরে মারামারির পরিবেশ রাখবেন না।  এমন কোনো কাজ বা আচরণ করবেন না, যা শিশুকে ভয় পায় এবং ঘুমাতে পারে না, কারণ এটিও শিশুদের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলে। 


 * শিশু যেন কোনো অবস্থাতেই অনিরাপদ বোধ না করে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। 


 * শিশুকে ঘুমানোর আগে স্নান করানো বা বই পড়ার অভ্যাস করুন, এটিও তাকে ভালো ঘুমাতে সাহায্য করবে।  


* এছাড়াও খেয়াল রাখুন শিশুর ঘুমানোর জায়গাটি শান্ত ও আরামদায়ক কিনা।

No comments:

Post a Comment

Post Top Ad