জলপাইগুড়ি: ছয় বছরের প্রেমে সাফল্য এনে দিল সেই ধর্না। শেষমেষ লক্ষ্মী লাভ সঞ্জিতের। সকলের সামনে চার হাত এক হল যুগলের, ঘটনা ধূপগুড়ির।
সঞ্জিত রায় ধুপগুড়ি পৌরসভা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। প্রেমিকা লক্ষ্মী রায়েরও একই এলাকায় বাস। ছয় বছরের ভালোবাসা সঞ্জিত ও লক্ষ্মীর। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল এমনকি লক্ষ্মীকে বিয়ে করতে রোজগারে মনও দিয়েছিলেন সঞ্জিত। কিন্তু হঠাৎ করেই তাল কাটল। যে সময় তিনি রোজগারে মগ্ন, ঠিক তখনই লক্ষ্মীর বাড়ি থেকে পাত্র দেখা শুরু হয় তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য। এই খবর কানে পৌঁছতেই সোমবার যুবক সটান হাজির প্রেমিকার বাড়ি। একাধিকবার আলোচনা হয়, তবে ফল শূন্য। শেষমেশ প্রেমিকা পুনরুদ্ধারে ধর্নায় বসেন তিনি।
প্রেমের প্রমাণস্বরূপ হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড এবং প্রেমিকার ছবি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই লক্ষ্মী লাভের অপেক্ষা করছিলেন সঞ্জিত। প্রেমে তাঁর মরন পণ ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় শেষমেষ প্রেমিকার বাবার মন গলে। পরিণতি পায় সঞ্জিত- লক্ষ্মীর ভালোবাসা। মঙ্গলবার ভোর রাতে স্থানীয় কাউন্সিলর ও এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে তাদের চার হাত এক হয়। মালাবদল করে লক্ষ্মীর সিঁথিতে সিঁদুর রাঙিয়ে দেন সঞ্জিত। এদিনই তাদের বৌভাতের আয়োজন করা হয়েছে।
দীর্ঘ ছয় বছরের প্রেমের এমন সুখকর পরিণতি দেখে মুখে হাসি নবদম্পতি থেকে শুরু করে এলাকাবাসীদেরও। সঞ্জিত জানান, লক্ষীর পরিবারের লোকেরা আগে মেনে নিলে তাকে আর ধর্নায় বসতে হতো না। তবে, দুই পরিবার এক জায়গায় হয়ে মিলেমিশে থাকাই তাদের লক্ষ্য বলে তিনি জানান।
এদিকে, আগের দিন লক্ষ্মীর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও বিয়ের পর মুখ খুলেছেন তিনি। রাঙা সিঁথিতে মুখে হাসি থাকলেও চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি। যদিও কিছুটা আক্ষেপের সুর শোনা যায় লক্ষ্মীর গলায়। তিনি বলেন, 'বিয়ে হোক চেয়েছিলাম, তবে এমন ভাবে নয়, হয়তো বাবা-মায়ের মনে আঘাত দিয়ে ফেলেছি।'
তবে যাই হোক, কথায় বলে, 'শেষ ভালো যার, সব ভালো তার', এক্ষেত্রেও সেটাই আবার প্রমাণ হল। ধরনায় বসে শেষমেশ লক্ষ্মী লাভ করেই ছাড়লেন সঞ্জিত।
No comments:
Post a Comment