গ্রীষ্মকালের অন্যতম সমস্যা হল ঘামাচি সমস্যা।যা বেশিভাগ সময় বাচ্চাদের হয়ে থাকে।যা খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা। তাই এর থেকে মুক্তি পেয়ে প্রথমে জানতে হবে, ঘামাচি কেন হয়৷ তা হলে সমস্যার গোড়া থেকে নির্মূল করাটাও সহজ হবে৷ অতিরিক্ত ঘামে ত্বকের ছিদ্রের মুখ বন্ধ হয়ে গেলেই ঘামাচি জন্মায়৷ তাই যদি মনে করেন যে গাদা গাদা প্রিকলি হিট পাউডার মাখলেই সমস্যাটা থেকে দূরে থাকা যাবে, তা হলে ভুল ভাবছেন৷
বাইরে থেকে এসে ঘামে ভেজা পোশাক, অন্তর্বাস বদলে ফেলুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব৷ যাঁরা খুব ঘামেন, তাঁরা দিনে দু’-তিনবার পোশাক বদলান৷ বাচ্চাকে স্কুলের পোশাকের নিচে অন্তর্বাস পরান এবং বাড়ি ফেরামাত্রই পোশাক বদলে দিন৷ সব সিন্থেটিক মেটিরিয়াল বাদ দিয়ে সুতি বা লিনেনের ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরুন৷ ঘাম যেন শরীরে চেপে বসতে না পারে৷ দিনে অন্তত দু’বার স্নান করুন৷এক্ষেত্রে কিছু ঘরোয়া উপাদান আপনার খুব কাজে আসতে পারে, সেগুলি অবশ্যই রাখুন হাতের কাছে,যেমন-
নিমপাতা: যে কোনও চুলকানির তীব্রতা কমাতে খুব ভালো কাজে আসে নিমপাতা৷ একমুঠো নিমপাতা এক লিটার জলে ১৫ মিনিট ধরে ফুটিয়ে নিন৷ এই জলটা ঠান্ডা করে স্নানের শেষে গায়ে ঢেলে নিন৷ স্নানের জলে এটা মিশিয়েও ব্যবহার করা যায়৷ নিমের মাইক্রোবায়াল প্রপার্টি ত্বকের সমস্ত দূষণ দূর করতে পারে, চুলকানি বা ব্যথা কমাতেও তা কার্যকর৷ পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে নিমপাতার জলে স্নান করলে ঘামাচির সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন৷ নিমপাতা বেটেও লাগাতে পারেন ত্বকের উপদ্রুত অংশে৷
চন্দনবাটা আর গোলাপজল: চন্দনের প্রলেপ ত্বককে শীতল রাখে৷ গোলাপজল আর চন্দনের মোটা পেস্ট তৈরি করে ঘামাচির উপর লাগিয়ে রাখতে পারেন, শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলবেন৷ এতে চুলকানি থেকে মুক্তি মেলে৷ দিনে একবার এই পেস্ট ব্যবহার করে দেখুন৷
দই আর মুলতানি মাটি/ দই আর বেসনের পেস্ট: ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে দই খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়৷ মুলতানি মাটি আর দইয়ের পেস্ট আপনার ত্বককে ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে৷ তার মধ্যে খানিকটা গোলাপজলও মিশিয়ে নিতে পারেন৷ প্রলেপটা ঘামাচির উপর মিনিট ১৫ লাগিয়ে রাখুন৷ শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন৷ তবে যাঁদের ত্বক শুষ্ক, তাঁরা একদিন বাদ দিয়ে দিয়ে মুলতানি মাটির পেস্ট লাগান৷ শুষ্ক ত্বকে কিন্তু ইনফেকশনও বেশি হয়৷
No comments:
Post a Comment