পুঁইশাক আমাদের দেশের একটি বিখ্যাত সবজি। পুঁইশাক সবজির মধ্যে সেরা। আমাদের দেশে প্রায় সব জায়গায় পুঁইশাক চাষ হয়।
পুঁইশাক চাষে রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে পুঁইশাকের পাতা আকারে ছোট হয়ে যায় এবং পাতায় দাগ পড়ে সহজে। ফলে সহজে হজম হতে চায় না। আর ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হলে অনেক সময় শিকড় পচে যায়।
প্রয়োজনীয় জলবায়ু এবং মাটি:
পুঁইশাক গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে বৃদ্ধি পায়। গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়া এবং রোদ পুঁইশাকের জন্য অগ্রাধিকার। কম তাপমাত্রায় গাছের বৃদ্ধি ও ফলন কম হয়। পুঁইশাক সব ধরনের মাটিতে জন্মে। তবে, এঁটেল দোআঁশ থেকে সুনিষ্কাশিত বেলে দোআঁশ মাটিতে সবচেয়ে ভালো জন্মে। তাই পুঁইশাক চাষের ক্ষেত্রে দোআঁশ, বেলে দোআঁশ ও এঁটেল মাটি ব্যবহার করাই ভালো।
আসুন জেনে নেই কিভাবে রাসায়নিক সার ছাড়া পুঁইশাক চাষ কিভাবে করা যায়:
১) টবে পুঁইশাক চাষের জন্য অর্ধেক দোআঁশ মাটি এবং অর্ধেক পচা গোবর বা পচা পাতা সার দিতে হবে।
২) আপনি একটি বড় টবে বা সিমেন্টের ব্যাগে পুঁইশাক গাছ লাগাতে পারেন। মাটি ও সার ও জল মিশিয়ে মাটিতে আবার হালকাভাবে বীজ ছিটিয়ে দিন। বীজ বপনের আগে ছত্রাকনাশক দিয়ে রোগের চিকিৎসা করা উচিৎ। এছাড়াও পরদিন সকালে রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে টবে তৈরি মাটিতে বীজ পুঁতে দিতে হবে।
৩) সার বৃদ্ধির জন্য কোনও রাসায়নিক বা কৃত্রিম সার না দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সার দেওয়ার জন্য তরল সার খুবই প্রয়োজনীয়। এজন্য সরিষার তেল দিয়ে তরল সার তৈরি করে ১৫ দিন অন্তর টবে দিতে হবে। সবজির খোসা ছাড়িয়ে তৈরি সার দিতে হবে। গাছের গোড়া থেকে ৬ ইঞ্চি দূরত্বে গর্ত খনন করে সার দিতে হবে।
৪) গাছের পাতা প্রায়ই পেঁচানো হয়। গাছে পোকামাকড়ের কারণে পাতা ঝরে যায়। এ জন্য ঘরেই তৈরি করতে পারেন প্রাকৃতিক কীটনাশক। নিম পাতা সিদ্ধ করে জল দিতে পারেন।
টবের ভিতরে আগাছা জমতে পারে, তাই সাবধানে আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। গাছের নিচে কখনওই জল জমা হতে দেওয়া উচিৎ নয়। তাহলে গাছের শিকড় পচে যেতে পারে। বৃষ্টির পর গাছের গোড়া মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment