বর্তমানে ক্যান্সারের মতো রোগ অনেক বেড়ে গেছে। এর সবচেয়ে বড় কারণ খারাপ জীবনযাপন। অতিরিক্ত মদ্যপান, ধূমপান, ব্যায়াম না করা, বাজে খাদ্যাভ্যাসের কারণে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে গেছে।
ক্যান্সারের কারণে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ মারা যায়। অনেক ধরনের ক্যান্সার আছে যেমন ফুসফুসের ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার ইত্যাদি।
প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা সম্ভব হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যান্সার হয়ে ওঠে মারাত্মক। জীবনযাত্রার প্রতি সর্বোচ্চ যত্ন নেওয়া উচিৎ । তাই ভুলেও এই ভুলগুলো করা উচিৎ নয়।
বেশি মোবাইল ব্যবহার করা:
আজকাল মানুষ সারাদিন মোবাইল বা ল্যাপটপে ব্যস্ত থাকে। জানেন বেশি মোবাইল ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়।
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলে ফোন থেকে রেডিওফ্রিকোয়েন্সি শক্তি নির্গত হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। বেশি মোবাইল ব্যবহার করলে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
বেশি স্ট্রেস নেওয়া:
আজকাল সবাই অনেক বেশি স্ট্রেস, দুশ্চিন্তা, মানসিক সমস্যায় ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে বেশি স্ট্রেস নিলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
যারা বেশি স্ট্রেস নেন, তাদের রক্তচাপ বেড়ে যায়, হৃদস্পন্দন দ্রুত হয় এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়। মানসিক চাপ ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়।
ধূমপান এবং অ্যালকোহল পান:
ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবন ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ায়। ফুসফুস, মুখ, গলা ইত্যাদির উপর এই জিনিসগুলির সরাসরি প্রভাব পড়ে, যা কখন ক্যান্সারে রূপ নেয় তাও জানা যায় না।
বলা হয়, যারা ধূমপান করেন এবং বেশি অ্যালকোহল পান করেন, তাদের বয়স একজন সাধারণ মানুষের তুলনায় ১০ বছর কমে যায়।
অনেকক্ষণ বসে থাকা:
কিছু মানুষের কাজ সারাদিন বসে থাকা। এই ধরনের ব্যক্তিদের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শারীরিক পরিশ্রম না করলে এবং সারাদিন বসে থাকলে কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ইত্যাদির ঝুঁকি থাকে।
দীর্ঘক্ষণ রোদে থাকার ফলে ত্বকের ক্যান্সারও হতে পারে, কারণ সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে, যা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
অতিরিক্ত স্থূলতা:
অতিরিক্ত ওজন এবং স্থূলতার কারণে প্রদাহ এবং হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়। এটি শরীরে ইনসুলিনের মতো জৈব রাসায়নিক পদার্থকে প্রভাবিত করতে পারে।
ক্যান্সার এড়াতে প্রতিদিন ব্যায়াম করতে হবে, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে, যাতে বেশি ক্যালরি নেই, অতিরিক্ত চর্বি নেই। যত বেশি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকবেন, ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা তত কম হবে।
No comments:
Post a Comment