বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানা এলাকার একটি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পান স্ত্রী। সরকারি চাকরির কারণে স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যাবে বলে আশঙ্কা ছিল স্বামীর। সরকারি হাসপাতালে পাওয়া নার্সের কাজ যাতে তিনি করতে না পারেন সেজন্য তিনি তার স্ত্রীর ডান হাত কেটে দেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পলাতক। যদিও স্ত্রী দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। নির্যাতিতার নাম রেনু খাতুন। অভিযুক্তের নাম শের মোহাম্মদ শেখ। সে পলাতক বলে জানা গেছে।
কেতুগ্রামের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। নির্যাতিতা দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
নিহতের ভাই চাঁদ শেখ জানান, কোজলসার বাসিন্দা জাওয়াই শের মোহাম্মদ একটি মুদি দোকান চালান। কিছুদিন আগে তার বোন একটি সরকারি হাসপাতালে নার্সের চাকরি পেয়েছে। শনিবার রাতে তার স্বামী তার বন্ধুদের নিয়ে বোনের ঘরে আসে। তার বোন শুয়ে ছিল। তারা তার ডান হাত কেটে ফেলে। এরপর তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অন্যান্য কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রেনু খাতুনের ডান হাতের কব্জির নিচের অংশ পুরোপুরি কেটে গেছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, 2017 সালের অক্টোবরে, তিনি শের মোহাম্মদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সে তার বাবার একমাত্র ছেলে। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করতেন রেণু। তার শ্বশুরবাড়ি তার কাজ করা অপছন্দ। তার মেয়ে তাকে বলতেন, শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে কাজ করতে দেবে না। তার মেয়ে সরকারি চাকরির সুযোগ ছাড়তে রাজি ছিল না। পরের সপ্তাহে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগেই ঘটনার শিকার হন তিনি। এ ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা শোকাহত। তাদের মেয়ের সাথে এমন ঘটনা ঘটবে তা তারা কল্পনাও করেননি।
No comments:
Post a Comment