প্রতীক্ষায় অবসান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উদ্বোধন হলো পদ্মা সেতুর। খুলে গেল এক নতুন যোগাযোগের দিগন্ত। শনিবার ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এদিন সকাল ১১.৪০ মিনিট নাগাদ টোল প্লাজার উদ্দেশ্যে রওনা হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল-১ উন্মোচন করে তিনি অংশ নেন মোজানাতে। অপরদিকে জাজিরা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন সম্পন্ন করেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা। এরপর গাড়ি করে সেতুও পার করেন তিনি।
এদিন পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, "আজ বাংলাদেশের মানুষ গর্বিত। দেশবাসীর সঙ্গে আমিও আজ আনন্দিত ও গর্বিত। এই সেতু শুধু কংক্রিটের একটি কাঠামো নয়, এটি আমাদের অহংকার, আমাদের সক্ষমতা আর মর্যাদার প্রতীক। এই সেতু বাংলাদেশের জনগণের। অনেক বাধা উপেক্ষা করে আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে, আজ পদ্মার বুকে দাঁড়িয়ে আছে এই সেতু।"
তিনি বলেন, 'ষড়যন্ত্রের ফলে দু'বছর দেরি হয়েছে সেতু নির্মাণে, কিন্তু আমরা থামিনি। শেষ পর্যন্ত পদ্মার বুকে জ্বলে উঠেছে নানান রঙের আলোর ঝলকানি। পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা।' প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। আমাদের জাতির জনক আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি। মাথা উঁচু করে সারা বিশ্বে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ।'
পদ্মা সেতু কেবল সেতু নয়, এ যেন দেশবাসীর এক আবেগ। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ছুঁয়ে গিয়েছে এই সেতু। এর ফলে ব্যবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণ হবে। দেশে গড়ে উঠবে শিল্প-কারখানা, ঘুচবে বেকারত্ব। এছাড়াও এই সেতু উদ্বোধনের ফলে দূরত্ব কমল ঢাকা-কলকাতার। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা আশাবাদী, এই সেতুর হাত ধরে উন্নয়নের জোয়ার আসবে বাংলাদেশে।
প্রসঙ্গত, এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ডাক বিভাগের মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার সহ অন্যান্য বিশিষ্ট আধিকারিকরা।
No comments:
Post a Comment