ফেসবুকে আলাপ-প্রেম! পরিণতি পেল সেই ভালোবাসা। তমলুকের মা বর্গভীমাকে স্বাক্ষী রেখে শুভ পরিণয়ে আবদ্ধ হলেন ভারতের ছেলে ও বাংলাদেশের মেয়ে।
২০১৯ সালে ফেসবুকে আলাপ। পড়াশোনা বিষয়ে কথাবার্তা। কোভিড-লকডাউনের কারণে ফেসবুকেই কথাবার্তা চলতে থাকে। ধীরে ধীরে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় দুজনের। এরপর কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায়, লকডাউন উঠতেই প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ছুটে আসেন ঝুমা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তমলুকের সতীর ৫১পীঠের একপীঠ দেবী বর্গভীমা মন্দিরে মালাবদল করে বিয়ে হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের ডিমারীহাট এলাকার যুবক মানস মাজির সাথে বাংলাদেশের মানিকগঞ্জ জেলার গাজিপুর এলাকার ঝুমা মালবপ্রভার।
বাঙালি রীতি মেনে বর-কনের সাজে আত্মীয়-পরিজনের উপস্থিতিতে মহা ধুমধামের সাথে চার হাত এক হয় যুগলের। ঝুমার পরিবারের লোকজনেরা বৈধ কাগজপত্র নিয়েই এদেশে প্রবেশ করেন। মেয়ের আবদার রাখতেই ওপার বাংলা থেকে ছুটে আসেন ঝুমার পরিবারের সদস্যরা। সরকারি আইন মেনে ঝুমা এবং মানসের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ফেসবুকে আলাপের পর একে অপরকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি তারা। তারা ভাবতেও পারেনি দুজনে এক হয়ে সংসার করবেন।
বর্গভীমা মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে অয়ন অধিকারী জানান, প্রায় প্রতিদিন বর্গভীমা মাকে সাক্ষী রেখে বহু বিবাহ হয়ে থাকে। তবে আজকের এই বিয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। কারণ দুই দেশ ভারত ও বাংলাদেশের মেলবন্ধন ঘটল এই বিবাহের মাধ্যমে। বয়সের বৈধ কাগজপত্র ও পরিবারের সম্মতিক্রমে মন্দিরে বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। মন্দিরে বিয়ের পর মানসের বাড়িতে ভুরিভোজের আয়োজন করা হয়।
মানস ও ঝুমার সম্পর্কের মতো দুই দেশের সম্পর্ক আরো সুদৃঢ় হয়ে উঠুক এই কামনা করেন বিবাহের অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা।
No comments:
Post a Comment