গ্রীষ্মকালে, অনেক মহিলা তাদের ত্বকের যত্নের রুটিনে ভিনেগার ব্যবহার করেন। আপেল সিডার ভিনেগার এর একটি বড় উদাহরণ। ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ হওয়ায় ভিনেগার ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে। গরমে জাম ভিনেগার ব্যবহার ত্বকের পাশাপাশি চুলের যত্নেও উপকারী। জাম ভিনেগারের সাহায্যে ত্বক ও চুল সংক্রান্ত অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এক চিমটে। আমরা আপনাকে বলি যে জাম রস গাঁজন করে জাম ভিনেগার তৈরি করা হয়। জাম ভিনেগারে উপস্থিত ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি ত্বক এবং চুলের জন্যও খুব কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়।
চুল পড়া থেকে মুক্তি:
জাম ভিনেগারকে আয়রনের ভালো উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি খেলে চুলের গোড়া থেকে শক্তি পাওয়া যায়। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়াও কমতে শুরু করে।
খুশকিকে বিদায় জানান:
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে ভরপুর জাম ভিনেগার খুশকিতেও বেশ কার্যকরী। জাম ভিনেগারের সাথে সামান্য জল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করলে খুশকি দূর হয়। জাম ভিনেগারকেও মাথার ত্বকের সংক্রমণ মুক্ত রাখার একটি কার্যকর উপায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ব্রণ দূর করতে:
জাম ভিনেগার মুখের ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে। জাম ভিনেগারে সামান্য বেসন মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর তাজা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের সংক্রমণ এড়াবে:
গরমের মৌসুমে ধুলাবালি ও ঘামের কারণে অনেকেই ত্বকের সংক্রমণের শিকার হন। এমন অবস্থায় জলের সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের সংক্রমণকেও দূরে রাখতে পারেন।
ফেস ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করুন: ফেস ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন জাম ভিনেগার। বেরির ভিনেগার জলে মিশিয়ে তুলোর সাহায্যে মুখ পরিষ্কার করলে মুখে জমে থাকা ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া সহজেই দূর হয়।
No comments:
Post a Comment