সোমবার রাজ্য বিধানসভা অধিবেশন থেকে বিরোধীদের ওপর একের পর এক আক্রমণ শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুকে নতুন নামও দিয়েছেন মমতা। 'দাদামণি' বলে শুভেন্দুকে কটাক্ষ করেন তিনি। মমতার বক্তব্যের শুরু হতেই ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই নতুন ডাকের সময় শুভেন্দু সামনে ছিলেন না।
মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি যে চাকরি দিয়েছেন তার হিসাব কে দেবে। তিনি বিজেপি বিধায়কদের ফেরত পাঠানোর হুমকি দেন। প্রস্তাবের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এক লক্ষ চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে একশো ভুল হতে পারে। এটাকে উন্নত করতে হবে এবং সময় দিতে হবে। আমরা বেকারদের চাকরি দেব। কোনও সমস্যা হলে তা ঠিক করতে হবে।"
সিবিআই এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্ত করছে। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে জেরা করেছে সিবিআই। এ ঘটনায় মন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “আর চাকরি নির্মাতা দাদামণির (শুভেন্দু অধিকারী) হিসাব কে নেবে? সিবিআই কি তাকে ধরবে না? দাদামণি মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ থেকে উত্তর দিনাজপুর পর্যন্ত ওই সব জায়গায় চাকরি দিয়েছে।” মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আরও আক্রমণ করে বলেন, "মন্দারমণির নাম এখন 'দাদামণি' হয়ে গেছে। কেন? আর বলা হচ্ছে, ১৭,০০০ চাকরি খাব। আমি বিজেপি বিধায়কদের ঘরে ফেরত পাঠাব। আমি ক্ষমতায় এসে সেই চাকরিগুলো ফিরিয়ে নিতে পারতাম, কিন্তু করিনি। তারা বলছে ২০২৪ সালে ক্ষমতায় এসে সবাইকে জেলে ঢোকাবে।"
জবাবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করছেন কারণ তাকে বেআইনিভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়কদের বাড়ি পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন।" তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি বিধায়কদের হুমকি দিচ্ছেন। এটা সংবিধান ও বিধানসভার ঐতিহ্যের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান লঙ্ঘন করছেন।"
মুখ্যমন্ত্রীর 'দাদামণি' সম্বোধন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শুভেন্দু বলেন, 'আমাকে দাদামণি বলছেন কেন? আমাকে 'ভাইসোনা' বলা উচিৎ। আমি তার থেকে ১৭ বছরের ছোট।" এর সাথে যোগ করে শুভেন্দু বলেন, "আমার মনে হয় অমিত ব্যানার্জীকে দাদামণি বলেছেন। যার একসময় রংয়ের দোকান ছিল, তার এখন হাজার হাজার কোটি টাকা।"
No comments:
Post a Comment