একটি মুরগির শরীর বজায় রাখার জন্য, সকালের খাবারের ৪০% প্রয়োজন। যেহেতু একটি সাধারণ ডিমের ওজন ৫৬-৬২ গ্রাম বয়সের মধ্যে, তাই খাবারের চাহিদার ৮০% বিকালে দেওয়া হয়। সকালে ৪০% এবং বিকেলে ৬০% খাওয়ালে ডিমের উৎপাদন ৫-১০% বৃদ্ধি পায়। এ কারণে বেশি ওজনের মুরগির ওজন কমে যায় এবং কম ওজনের মুরগির ওজন বেড়ে যায়। ডিমের অতিরিক্ত ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয়ে যায়। গতি হ্রাস পায় এবং আবেশ হ্রাস পায়। খাদ্য গ্রহণ বৃদ্ধি এবং ওষুধের খরচ হ্রাস করা হয়।
সাধারণত আবহাওয়া বা তাপমাত্রা মুরগির খাওয়ার পরিমাণকে প্রভাবিত করে। কিন্তু তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়, রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমে যায়, বিপাকীয় কার্যকলাপ কমে যায়, জলের তৃষ্ণা বাড়ে, ডিমের খোসা পাতলা হয়ে যায়।
মুরগিকে খাওয়ানোর নিয়ম
দিনের খাবার সকাল এবং বিকেল বা সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যায় দুই বা তিন ভাগে বিভক্ত। তবে প্রচণ্ড গরমে মধ্যাহ্নভোজের কর্মসূচি বাতিল করতে হয়।
যখন ডিম পাড়া শুরু করে, তখন আপনাকে প্রয়োজন মতো মুরগিকে খাওয়াতে হবে। এ সময় কোনও খাবার কম-বেশি খাওয়া যাবে না।
ডিম পাড়ার বয়সের আগে মুরগির ওজন নির্ধারিত পরিমাণের বেশি হলে বা ডিম পাড়া শুরু করলে খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে ওজন কমানো সম্ভব নয়।
No comments:
Post a Comment