দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, নিয়াসিন ইত্যাদি পাওয়া যায়। দই এবং বাটার মিল্ক হল দুধের উপজাত। তাই বিভিন্ন শস্যের সাথে এগুলো খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে।
দুধ জায়ফল
জায়ফলের ভিতরে প্রোটিন, ফাইবার, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন বি৬, সি এবং এ পাওয়া যায়। দুধ ও জায়ফল একসঙ্গে খেলে পেটে গ্যাসের সমস্যা, বদহজম ও অনিদ্রা দূর হয়। জায়ফলের প্রদাহরোধী গুণ রয়েছে, হাত ও পায়ে ব্যথা ও ফোলা থাকলেও এর সেবন উপকার দেয়।
প্রণালী: ঘুমানোর আধা ঘণ্টা আগে এক গ্লাস দুধে একটি জায়ফল ফুটিয়ে নিন বা এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ জায়ফলের গুঁড়া নিন।
দুধ চিনি
চিনি মিছরি দুধের সাথে মিশিয়ে খাওয়ালে অনেক সমস্যা নিরাময় সম্ভব। সারাদিনের ক্লান্তি, রক্তস্বল্পতা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় দুধ ও চিনি পান করুন। যদি আপনার ল্যাপটপ, কম্পিউটার এবং মোবাইলের স্ক্রিন টাইম বেশি থাকে এবং এর প্রভাব চোখে পড়তে শুরু করে তাহলে চোখের সুস্বাস্থ্যের জন্য দুধ ও চিনি খাওয়া শুরু করুন।
প্রণালী... এক গ্লাস উষ্ণ দুধে এক চামচ চিনি মিছরি মিশিয়ে ঘুমানোর সময় পান করুন বা রাতে ছেড়ে দিন দুধে চিনি মিশিয়ে সকালে খেয়ে নিন।
দুধ-মরিচ
এই সংমিশ্রণটি অদ্ভুত মনে হলেও এটি শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কালো মরিচের ব্যথা উপশমকারী এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই আঘাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে দুধের সাথে পান করুন। এছাড়া গলা ব্যথা, মাড়ি ফোলা, জয়েন্টে ব্যথা, নিম্ন রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্যও কালো মরিচ খেতে হবে।
প্রণালী... এক গ্লাস দুধে দুই চিমটি কালো গোলমরিচের গুঁড়া এবং আধা চা চামচ মধু মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করুন।
দুধ এবং শুকনো ফল
বাদাম-দুধ... রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, ওজন বাড়াতে এবং ত্বকের জন্য।
ডুমুর-দুধ... মাসিকের ব্যথা উপশম করে, হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং পরিপাকতন্ত্রের উন্নতি ঘটায়।
শুকনো দুধ... নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, রক্ত বাড়াতে এবং মুখের বলিরেখা দূর করতে।
খেজুর-দুধ... পরিপাকতন্ত্র মজবুত, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হাঁপানি রোগে উপকারী।
No comments:
Post a Comment