উত্তরপ্রদেশের হট্টগোলের কারণে এ শুক্রবার পুলিশের সামনে দ্বিগুণ উত্তেজনা বিরাজ করছে। একদিকে জুমার নামাজের পর দুষ্কৃতীদের দমন করতে হবে, অন্যদিকে অগ্নিপথ প্রকল্প নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনকে সামাল দিতে হবে। জুমার নামাজের পর যাতে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশের প্রথম প্রচেষ্টা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই এ লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু হয়েছে।
জুমার নামাজের পর উত্তাল জেলাসহ অন্যান্য জেলায় শান্তি কমিটির সভা করে জনগণকে যেকোনও ধরনের বিক্ষোভ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সেই সঙ্গে মসজিদের ইমামদের ভিড় না করার জন্যও আহ্বান জানানো হচ্ছে।
গত শুক্রবার প্রয়াগরাজ ও তার আগে কানপুরে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এছাড়াও সাহারানপুর, ফিরোজাবাদ, হাতরাস, মোরাদাবাদ, আম্বেদকর নগর প্রভৃতি জেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। জুমার নামাজের পর পরিবেশের অবনতি রোধ করাই পুলিশ প্রশাসনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ জন্য পুলিশ ও প্রশাসন কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত। স্পর্শকাতর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে RAF এবং PACও। ড্রোনের পাশাপাশি এবার হেলিকপ্টারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মাওলানা কালবে জাওয়াদ জনগণকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। জুমার নামাজের পর স্লোগান দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। ভিডিও বার্তায় জাওয়াদ বলেছেন যে নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে। নামাজ শেষে মানুষ ঘরে ফিরে যায়।
উত্তরপ্রদেশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা প্রশান্ত কুমারও শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'শুক্রবারের নামাজের আয়োজনের জন্য ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে জনসংযোগ করা হয়েছে এবং তাদের সহযোগিতাও পাওয়া যাচ্ছে। বরেলিতেও একটি বিক্ষোভের প্রস্তাব করা হয়েছিল যা স্থগিত করা হয়েছে। বর্তমানে আমরা সকল ধর্মীয় নেতা ও শান্তিপ্রিয় মানুষের সাথে বৈঠক করেছি। এবার যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সকল ধর্মীয় নেতাদের পক্ষ থেকে একটি আবেদনও জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতার সঙ্গে আগে অশান্তি সৃষ্টিকারী দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।"
No comments:
Post a Comment